গ্রাহক সেজে ব্যাংকে ঢোকেন ডাকাতরা, এরপর যা যা ঘটে
গ্রাহক সেজে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকের শাখায় প্রবেশ করেছিল আত্মসমর্পণকারী তিন ডাকাত। এরপর খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে কর্মকর্তাদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ব্যাংক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান রূপালী ব্যাংকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের জিএম মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি, জনগণের কোনো আমানতও খোয়া যায়নি। আগামী রোববার থেকে ব্যাংকের এই শাখায় আবার আগের মতো লেনদেন হবে।
জিএম বলেন, ডাকাতরা হানা দেওয়ার সময় ব্যাংকে মোট ছয়জন গ্রাহক ছিলেন। তারা নিরাপদে আছেন। সেসময় ব্যাংকের ছিলেন সাতজন কর্মকর্তা, একজন অফিস সহকারী ও দুজন ফায়ার গার্ড। সবাই সুস্থ আছেন। ব্যাংকের সব টাকা গুনে দেখা হয়েছে, এক টাকাও খোয়া যায়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির বিষয়ে জানানো হলে আশপাশের কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখাটি ঘেরাও করেন। এরপর পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে উপস্থিত হয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে যৌথবাহিনীর ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে ডাকাতরা।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি খেলনা পিস্তল ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখা থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করা তিন ডাকাত থানা হেফাজতে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন তাদের নাম সাফায়েত, নীরব ও সিফাত বলেছে। নামগুলো সঠিক কি না যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনের বয়স ১৪ এবং একজনের বয়স ১৮ বছর বলে ধারণা করছি আমরা।
আরটিভি/এসএপি/এআর
মন্তব্য করুন