দূষিত বাতাসের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২৩২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় ঢাকার বাতাসের পিএম২-এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে ৩১.৪ গুণ বেশি রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
এদিন ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে গুলশান ২ এর রব ভবন এলাকায় (২৮৭)। এরপরেই রয়েছে ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (২৮২), গুলশান লেক পার্ক (২৬৮), ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৬১), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি এলাকা (২৪০), তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ার এলাকা (২৩৭), বেচারাম দেউড়ি (২৩২), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩২), পশ্চিম নাখালপাড়া সড়ক (২৩২), ঢাকার কল্যাণপুর (২১৯)। এসব এলাকায় বাতাসের মান খুবই ‘অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে’ রয়েছে।
এ সময় বিশ্বের দুষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি।
২৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের শহর বাগদাদ (২৬৭)। তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা (২৩২), ঘানার শহর আক্রা (২৩০), পাকিস্তানের করাচি (২২০)। শহরগুলোর বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় ও বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরটিভি/এফআই
মন্তব্য করুন