বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, বিপর্যস্ত জনজীবন
গতকালের ন্যায় আজও দেখা নেই সূর্যের। বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে ঝরছে কুয়াশা, সঙ্গে হিমেল হাওয়া। সবমিলিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর থেকেই রাজধানী ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়। এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। হেডলাইট জ্বালিয়েও মিলছে না সুফল।
সরেজমিনে কারওয়ান বাজার, তেজগাঁও, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, উত্তরা, বিমানবন্দর ও খিলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির মতো ঝিরিঝিরি কুয়াশায় ভিজে গেছে রাস্তাঘাট। যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক কম। আর যারাই জীবিকার টানে বের হচ্ছেন বৃষ্টির মতো কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় পড়ছেন ভোগান্তিতে। গরম পোশাক গায়ে জড়িয়েও যেন রেহাই মিলছে না।
তেজগাঁও রেলস্টেশনের পাশে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিচ্ছিলেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। তারা বলেন, প্রচণ্ড শীত লাগার কারণে আগুন জ্বালিয়ে গরমের তাপ নিচ্ছি। প্রচণ্ড শীত থাকলেও আগুন জ্বালানোর পরে কিছুটা ভালো লাগছে।
কারওয়ান বাজার এলাকায় এই প্রতিবেদকের কথা হয় রিকশাচালক আব্দুল মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে ঠিক, তাই বলে ঘরে বসে থাকলে হবে? খাবো কী? বৌ-বাচ্চারা কষ্ট পাবে, আর আমি চেয়ে চেয়ে দেখবো? এটা হতে পারে না। তাইতো বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি।
এক টুকরো গরম কাপড় আর সূর্যের মান ভাঙার দিকে তাকিয়ে আছেন মোহাম্মদপুর এলাকার ছিন্নমূল মানুষ। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, শীতে কষ্ট হচ্ছে। গরম কাপড় আর কম্বল হলে ভালো হতো। কিন্তু তা কেনার সামর্থ্য কোথায়?
বিদ্যমান আবহাওয়া আরও কিছুদিন অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। যদিও ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, এ সময় মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এতে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আরটিভি/আইএম/এস
মন্তব্য করুন