সাপাহারে বৃদ্ধা মাকে গরু-ছাগলের ঘরে রেখেছে ছেলে
নওগাঁর সাপাহারে নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা মাকে অন্ধকার কুঠরী ঘরে গরু-ছাগলের সঙ্গে রাখার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বাদ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের পাষণ্ড ছেলে ফজলুর রহমানের ওপর। শুধু তাই নয় বৃদ্ধা মাকে দুই বেলা দুই মুঠো খেতেও দেয়না পাষণ্ড ছেলে ফজলুর রহমান। যার কারণে এই বয়সে ভিক্ষাবৃতি করে চালাতে হয় নিজের খাওয়া পরা।
সাপাহার উপজেলার বাদ নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত সোলাইমানের ৯০ বছর বয়সী স্ত্রী কদবানু বেওয়া। বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু এই বয়সেও ভিক্ষাবৃতি করে চালাতে হচ্ছে তার নিজের খাওয়া-পরা। তার ছেলে ফজলুর রহমান স্বচ্ছল ব্যক্তি হলেও নিজের গর্ভধারিনী মাকে দিচ্ছেনা খাওয়া-পরা। শুধু কি তাই! তার নিজের বাড়ির ঘরেও ঠাঁই হয়নি এই বৃদ্ধা মার। অন্ধকার এক কুঠরির মধ্যে গরু-ছাগলের ঘরে ফেলে রেখেছেন মাকে।
প্রায় ১৫ শতাংশ জমির ওপর দোতলা বাড়ি! একটা ছেলে সরকারি চাকরিজীবী। তার পরেও প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ নিজের মাকে দুর্গন্ধযুক্ত গরুর ঘরে থাকতে বাধ্য করেছে পাষণ্ড ছেলে ফজলুর রহমান। এলাকাবাসীরা বলছেন একবেলাও মাকে খেতে দেয় না ফজলু এমনকি বৃদ্ধা মাকে রেখেছে গরুর ঘরে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দফায় স্থানীয় মোড়লরা বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে নেওয়ার কথা বললে তার ছেলে ফজলু মাকে ঘরে তুলতে ঘোর আপত্তি করে। তবে ফজলুর স্ত্রী বলছেন অন্য কথা। তার শ্বাশুড়ী নাকি নিজ থেকেই বাড়িতে যেতে চান না।
শুধু তাই নয় বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে রয়েছেন তার মেয়ে ও নাতনী। তার নাতনী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু আলো-বাতি না থাকায় ও বৃষ্টির পানি ঘরে পড়ার ফলে লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে তার।
গর্ভধারিনী মা! যে কিনা দশমাস দশদিন পেটে রেখে সন্তানকে ভূমিষ্ট করেছেন। কিন্তু সন্তানের এমন পাষণ্ড আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানবাধিকার কর্মীরা।
ব্যাপারটি বৃদ্ধার ছেলে ফজলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানাতে অস্বীকার করেন।
এই বৃদ্ধা মাকে ঘরে তুলে তার অধিকার ফেরত দেওয়া হোক সংশ্লিষ্টদের নিকট এমনটাই দাবি এলাকার সচেতন মহলের।
জেবি
মন্তব্য করুন