পালকিতে চড়ে বিয়ে করতে এসে চমকে দিলেন গ্রামবাসীকে
চার বেহারার পালকির কথা এখন বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শিশু-কিশোরদের ছড়া-কবিতার বইয়ে শুধু পালকির কথা ও ছবি চোখে পড়ে। গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসা সেই পালকি এবার দেখা গেলো সিরাজগঞ্জে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়ায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায়, বর পালকিতে চড়ে বিয়ে করতে এসেছেন। পালকিতে চড়ে বিয়ে করতে এসে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছেন কনের গ্রামবাসীকে। হারিয়ে যেতে বসা বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্যের স্মারক পালকিতে বরযাত্রা দেখতে এ সময় বিয়েবাড়ি ও আশপাশের সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেন উৎসুক জনতা। এই একবিংশ শতাব্দিতে কেউ গাড়ির বদলে পালকিতে চড়ে বিয়ে করতে আসতে পারেন, সেকথা ভেবেই গ্রামের মানুষ দারুণ খুশি। তাই এই করোনাকালেও বিয়ে বাড়িতে ছিল স্থানীয় উৎসুক মানুষের ভিড়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জ সরকারি বেগম নূরুন্নাহার তর্কবাগীশ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল মোত্তালেব শেখের একমাত্র ছেলে মো. মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে একই এলাকার শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে রেজওয়ানা মেহনাজের বিয়ের অনুষ্ঠানে এই পালকির ব্যবস্থা করা হয়।
বরের মামা হাফিজুর রহমান জানান, ‘পালকি আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ছিল একসময়। যদিও সেটি এখন আর চোখে পড়ে না। তাই বর-কনের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় স্বল্প দূরত্বের কারণে পালকিতে বরযাত্রার ব্যবস্থা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে আমরা হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।’
বেহারাদের সর্দার নিমাই চন্দ্র দাস (৫৫) জানান, ‘আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর পালকির জন্য তেমন ডাক পড়ে না। তবে মাঝেমধ্যে ডাক পেলে খুব ভালো লাগে। সারা বছর কৃষিসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকলেও পালকির জন্য ডাক পড়লেই সঙ্গীরা ছুটে আসে। প্রতিটি বরযাত্রায় ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়।’
পি
মন্তব্য করুন