নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি এমএম ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মানবিক বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার মিমের স্বপ্ন ছিলো একজন সেবিকা হয়ে মানুষের সেবা প্রদান করার।
বাবা মায়ের অভাবের সংসারে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন পূরণের লক্ষে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়েছিলেন চাকরি। সেই চাকরি তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মিম উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের মইশর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
মহামারি করোনায় পরীক্ষা ছাড়াই গেলো ৩০ জানুয়ারি এইসএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তানিয়া আক্তার মিম পেয়েছ জিপিএ-২.৯২ পেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলাফল পেয়ে মিমের বন্ধু-বান্ধবীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠলেও মিমের পরিবারে ছিটে ফোটাও নেই আনন্দ। কারণ এই উৎসবের মুহূর্তে মিম যে আর নেই। তার এই ফলাফল পরিবারের কাছে বাড়িয়েছে আরও আক্ষেপ।
পত্নীতলা ইসলামীয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি রুম থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। ওই ক্লিনিকে এক বছর যাবত নার্স ও রিসিপশন বিভাগ দায়িত্ব পালন করে আসছিল নিহত তানিয়া আক্তার মিম।
এ ঘটনায় তানিয়ার বাবা মো. মিজানুর রহমান জানান, আমার মেয়ে শৈশব থেকে খুব গোছালো স্বভাবের ছিলো। তাকে হারিয়ে আমরা খুবই ভেঙে পরি। তার এই রেজাল্টে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন। এ মামলায় তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছিলাম। পিবিআই প্রথম আসামি মো. নিজাম উদ্দিন বাবুকে গ্রেপ্তার করেন। বাকি দুইজন আসামি এখনও পলাতক বলে জানা গেছে।
জেবি