• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শেখ হাসিনা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিল: জামায়াত আমির
কালভার্ট ভেঙে বাঁশের সাঁকো, গ্রামবাসীর কষ্ট
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আড়পাড়া গ্রামের পরামানিক পাড়া থেকে দরগা হয়ে বিহারী মোড় পর্যন্ত পাকা সড়কে একটি কালভার্ট ভেঙে ফেলা হয়। কালভার্টটি পুনঃনির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জানা যায়, যশোর মহাসড়কের পাশ দিয়ে পরামানিক পাড়ায় ঢুকতেই পার হতে হয় এই কালভার্টটি। গেল বর্ষায় পৌর কর্তৃপক্ষ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল করার জন্য এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে পূর্ব থেকেই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকা কালভার্টটি সম্পূর্ণরূপ ভেঙে ফেলে। দ্রুত কালভার্টি পুনঃনির্মাণের কথা বলে তৎক্ষণাৎ একটি অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করে দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। সময় পরিক্রমায় বাঁশ দিয়ে নির্মিত ওই সেতুটি বর্তমানে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই বাঁশের সেতু ব্যবহার করে পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলসহ হালকা যানবাহন চলাচল করতে পারলেও তা ভারী যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণরূপ অনুপোযোগী। ফলে এসব যানবাহনকে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করে দীর্ঘ পথ ঘুরে আড়পাড়ার ভেতরে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।  পৌর এলাকার মধ্যে ওয়ার্ড ভিত্তিক আড়পাড়া গ্রামে প্রবেশের অন্যতম চওড়া এ রাস্তাটির উপর বাঁশের সেতুটি ভেঙে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।  কালভার্টের পাশের চা দোকানী দীপঙ্কর সাহা বলেন, প্রায় তিন মাস হলো পৌরসভার লোকজন এসে কালভার্টটি ভেঙে বাঁশের সেতু করে দিয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত পৌরসভার কেউ এসে খোঁজ নেয়নি বাঁশের সেতুটির কি অবস্থা। দুঃখজনক হলেও সত্য এই সেতুর কারণে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কিন্তু পৌরসভা নেবে না। আমরা বাঁশের সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি। অতিসত্বর বাঁশের সেতুর স্থানে কংক্রিটের কালভার্ট নির্মাণ করে স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ কমাতে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ শুরু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।  কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী কবির হাসান জানান, ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়ক সিক্স লেন প্রকল্পে সড়ক ও জনপথ যে জায়গা রাস্তার দুধার থেকে অধিগ্রহণ করছে সেই জায়গার মধ্যে পড়েছে পরামানিক পাড়ার কালভার্টটি। যে কারণে পৌরসভার পক্ষ থেকে ওখানে আর নতুন করে কালভার্ট নির্মাণের সুযোগ নেই। সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই জায়গায় উন্নত মানের আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে দেবে। যার উপর দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে এলাকার লোক যদি বর্তমানে বাঁশের সেতুটি সংস্কারের জন্য পৌরসভায় লিখিত আবেদন করেন, সে ক্ষেত্রে ওই সেতুটি সংস্কার করা যেতে পারে।  কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌর প্রশাসক দেদারুল ইসলাম জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। অতিসত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/একে
দেশের এক ইঞ্চি জমি কাউকে দেব না: জামায়াত আমির
ট্রাভেল পাস নিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গেলেন ৬৫৩ পর্যটক 
কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর পোশাক-ব্যাজসহ ভুয়া মেজর আটক
এইডসের ঝুঁকিতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর ৪ হাজার মানুষ
হবিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ৪০
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।  রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার নয়া পাথারিয়া এলাকা এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসন।  আহতদের মধ্যে রুবেল মিয়া (৩০), মোতালিব মিয়া (৩২) ও নাসির মিয়াকে (৩০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসন বলেন, ‘ওই গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি কারাবন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ মিয়ার লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের হাসন আলীর ছেলে সুরুজ আলীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয়ের পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহাদ মিয়ার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আশিক মিয়া ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা ডিপজল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়।’ আরটিভি/এমকে-টি
পাওনা টাকা না পেয়ে অটোরিকশাচালককে হত্যা
চাঁদপুরে পাওনা টাকার জন্য এক অটোরিকশা চালককে হত্যার পর দোকানের ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ওই অটোরিকশাচালকের নাম শরীফ তালুকদার (১৯)। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী। এর আগে, শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক ৯টায় বাগাদী চৌরাস্তা এলাকায় রাসেল গাজীর অটোরিকশার পার্টসের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন চৌরাস্তার অটোরিকশার পার্টসের দোকানদার নানুপুর গ্রামের মুজিব গাজীর ছেলে মো. রাসেল গাজী (২৮) ও তার দোকানের মিস্ত্রি সুমন পাটোয়ারীসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, আমার ভাগ্নে শরীফের কাছে থেকে রাসেল গাজী অটোরিকশার দৈনিক ভাড়া বাবদ ১১ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ওই টাকা আগামী ১২ ডিসেম্বর পরিশোধ করার কথা। কিন্তু এর মধ্যে শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রাসেল তার দোকানে ডেকে এনে ভাগ্নে শরীফকে বেধড়ক মারধর করেন। মারধরে তার মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরে দোকানের কাঠের সঙ্গে পরনের বেল্ট দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। ঘটনাস্থল থেকে ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়েছেন। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই চালকের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। আরটিভি/এমকে-টি
দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: ডিআইজি আলমগীর
দেশের ক্রান্তিলগ্নে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আলমগীর রহমান। রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নওগাঁ পুলিশ লাইন্স মাঠে সুধী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাই এক হয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করলে ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণ হবে। ৫ আগস্টের আগে যে সিস্টেম চলে এসেছে সেটি রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ডিআইজি আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা ফিরে এসেছে সেটি ধরে রাখতে হবে। নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, এ রেঞ্জের পুলিশ সদস্যদের আর ভয়ের কারণ নেই। পুলিশ আগের মতোই আছে। পুলিশ আর ভীত নয়। এখানে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সেনাবাহিনীর পোশাক আলাদা হলেও দেশের স্বার্থে আমরা এক হয়ে কাজ করছি। কাজের ধরণে পরিবর্তন আনতে পারলে জনগণ পুলিশকে সবসময়ই সহযোগিতা করবে। এর আগে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তার বক্তব্যে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিতে জড়িতরা যেই দলেরই হোক না কেন সেটি বিবেচনায় না নিয়ে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। নওগাঁ পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রাকিব, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসম সায়েম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর সমন্বয়ক আরমান হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আরটিভি/এমকে
বাবুল আক্তারকে ফাঁসাতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল: ভোলা
‘আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে পিবিআই। বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে খুন করেছে, এমন বক্তব্য দিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছিল।’ রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বাবুল আক্তার জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে কারা ফটকে এসে এসব কথা বলেন মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলা। মিতু হত্যায় ভোলা আসামিদের অস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। ভোলা বলেন, পিবিআই আমার কাছে কোনো অস্ত্র পায়নি। কোন একটা লেবারের কাছে দেখাইছে। তারে বানাইছে আমার লেবার, ওরা শিখাই দিছে। তাকে ডিবির পাহাড়ে (লালদীঘি এলাকায় ডিবি কার্য়ালয়) এনে জিম্মি করে বলছে, অস্ত্র ভোলা দিছে বলবি, না হলে ক্রস ফায়ারে দেব। তিনি বলেন, প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের কারণে সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার চক্রান্ত করে বাবুল আক্তারকে তার স্ত্রী হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের বাহার মার্কেটে স্বর্ণের গুদামে থেকে স্বর্ণ উদ্ধার ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেদিন অভিযান বন্ধ করতে রাজি না হওয়ায় বাবুলকে মিতু হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।  এহতেশামুল হক ভোলা বলেন, ‘আমি নির্দোষ’ আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন এসি মো. কামরুজ্জামান। পরে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অন্তত ১ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। আমাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে পিবিআই। বাবুল আক্তারই তার স্ত্রী মিতুকে খুন করেছে এমন বক্তব্য দিতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা চাই মামলাটির পুনরায় সাক্ষ্য নেওয়া হোক। আমার বিশ্বাস আমরা ন্যায় বিচার পাব, ইনশাআল্লাহ। ‘বাবুল আক্তার কেমন মানুষ ছিলেন?’ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে, উনি খুব সৎ লোক। আমি অনেক আগে থেকে উনাকে চিনি। উনি কোন ঘুষ-টুস নিতেন না। আমি জানি না, উনি এটাতে (মিতু হত্যাকাণ্ড) জড়িত আছেন কি না, আল্লাহই ভালো জানেন।’ প্রায় তিন বছর সাত মাস কারাগারে থাকার পর গত বুধবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিনের আদেশ দেন। রোববার সকালে জামিন আদেশের অনুলিপি মিতু হত্যা মামলার বিচারিক আদালত চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই আদালত থেকে বেইল বন্ড ইস্যু করা হয় বলে জানান বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী। এরপর বাবুলের মুক্তি হতে পারে এমন গুঞ্জনে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটকের বাইরে জড়ো হন গণমাধ্যমকর্মীরা। সন্ধ্যার দিকে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে ভিতরে যান তার বর্তমান স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তা। তার কিছু সময় পর বাবুল আক্তারের স্ত্রী ইসরাত জাহান মুক্তা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। গত বৃহস্পতিবার বাবুলের জামিন বাতিল চেয়ে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজের আদালতে আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এ ব্যাপারে মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার আইনজীবীরা আদালতে বলেছেন, এই মামলায় ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়ে গেছে। এখন প্রধান আসামি জামিনে মুক্তি পেলে সাক্ষীদের ক্ষতি হতে পারে। মোশাররফ হোসেনের আবেদনটি বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালতে আজ (রোববার) উত্থাপন করা হয় বলে নিশ্চিত করে মোশাররফের আইনজীবী মো. মনির হোসেন রানা বলেন, আবেদনটির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির পর আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন। উচ্চ আদালতে বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, মোশাররফ হোসেনের করা আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার শুনানি হবে। যেহেতু চেম্বার জজ আদালতে আবেদনটি অপেক্ষমাণ আছে তাই সেটির আদেশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সে সময়কার চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই বন্দরনগরীতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর টানা সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ বাবুল। পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এবং মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে মিতুর বাবার করা সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই আবার পুনরুজ্জীবিত হয়। ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হন বাবুল। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। গত বছরের ৯ এপ্রিল মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্যে দিয়ে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মিতু হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন। মামলার ৯৭ জন সাক্ষীর মধ্যে মিতুর মা শাহেদা মোশাররফসহ মোট ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বাবুল আক্তার গত ১৪ অগাস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। বিচারক তা নাকচ করে দিলে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আরটিভি/এসএপি
মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যা
মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) মাগুরা সদরের আঠারোখাদা গোরস্থান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুরমান শেখ (৭৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইয়াকুব শেখের ছেলে। আর তার ছেলে মফিজুর শেখকে (৩৫) এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম। নিহতের আরেক ছেলে হানিফ শেখ বলেন, আমার ছোট ভাই মফিজুর শেখ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাতে তার ভাগের জমি বিক্রি করতে বাবাকে চাপ দিতেন। মফিজুরের দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বাবা জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় সকালে তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আমরা বাবাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ দিকে ঘটনার পর হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম ও সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আইয়ুব আলী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হত্যাকারী মফিজুর মাদকাসক্ত। তিনি নেশার টাকা জোগাড় করতে প্রায় তার বাবাকে মারধর করতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নেশার টাকা জোগাড় করতে তার বাবাকে জমি লিখে দিতে বলেন। জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় আজ তাকে বুকে আঘাত করে হত্যা করেন। আরটিভি/এমকে-টি
ইজিবাইক চালক হত্যা, কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী
সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজনকে পঞ্চগড়ের ইজিবাইক চালক আল আমিনকে গুম ও হত্যার মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মো. আশরাফুজ্জামান এ আদেশ দেন।  শনিবার রাতে সাবেক এ মন্ত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়। আদালত সূত্রে জানায়, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হন আল আমিন। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মো. মনু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনকে প্রধান আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। মামলায় পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন আল আমিন। তাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হলে আমরা আসামির জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেছি। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শিগগির তাকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে এজাহারে প্রধান আসামি করা হয়েছে। উনাকে আদালতে তোলার পর জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেছেন। তবে আদালত তার ডিভিশন মঞ্জুর করেছেন। আরটিভি/এমকে
রোহিঙ্গা শিবিরে ফের আগুন, পুড়ল ৫ স্থাপনা
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়েছে এনজিও সংস্থার একটি ট্রেনিং সেন্টারসহ পাঁচটি স্থাপনা।  রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, দুপুর ১টার দিকে উখিয়ার ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫ ব্লকের এনজিও সংস্থার একটি ট্রেনিং সেন্টারে আকস্মিক আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে আগুন আশপাশের স্থাপনাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি উখিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধাঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে একটি ট্রেনিং সেন্টারসহ পাঁচটি স্থাপনা। ওসি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ট্রেনিং সেন্টারটিতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ কাজ করছে। এ দিকে প্রাথমিকভাবে একটি ট্রেনিং সেন্টারসহ ৫টি স্থাপনা ভস্মিভূত হওয়ার তথ্য দিলেও আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন বলেও ওসি জানান। আরটিভি/এমকে