রংপুরের বদরগঞ্জে সুমাইয়া সুলতানা খুশি নামে এক মাদরাসার শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মাদরাসার বাথরুমের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের জামুবাড়ী পকিহানা খাদিজাতুল কোবরা বালিকা মাদরাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। আজ বুধবার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের পকিহানা এলাকার আদুরী বেগম ও মফিজুল ইসলাম দম্পত্তির মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা খুশি। গত চার বছর আগে বাড়ির পাশে আবাসিক বালিকা ওই মাদরাসায় তাকে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে খুশি কার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে কান্নাকাটি করে। পরে ওই মাদরাসার ভেতরে বাথরুমে যায় খুশি। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ডাকাডাকি করলেও সে বের না হওয়ায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদরাসার শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে খুশির বাল্যবিয়ে হয়। আমাদের ধারণা, ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি নিয়ে সে ক্ষুব্ধ হয়। ওই ক্ষোভে হয়তো বাথরুমে ঢুকে সে আত্মহত্যা করে।
খুশির মা আদুরী বেগম বলেন, আমার মেয়ে খুব সরল ছিল। কারো সঙ্গে ও ঝগড়া করতো না। বাথরুমের ভেতর আমার মেয়ে বসা অবস্থায় পড়ে ছিল। এভাবে সে কি করে গলায় ফাঁস দিল এটা বিশ্বাস করতে আমার কষ্ট হচ্ছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন বলেন, মৃত্যৃ অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালের নিয়ে আসা হয়। গলায় সামান্য দাগ ছিল। রাতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
থানার উপপরিদর্শক রুহুল আমীন বলেন, ঘটনাটি অনেকটা রহস্যজনক। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় নিহতের কোনও স্বজন এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
জেবি