প্রধানমন্ত্রী ভারতের কাছে চাইলেন পানি, দিল বিদ্যুৎ। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে, আপনি চাইলেন কামান, দিল বিস্কুট আর ললিপপ। এমন মন্তব্য করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে 'জাতীয় নির্বাচন: নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিল্লি সফরে গেলেন, আমরা চাতক পাখির মতো বসে থাকলাম। ভেবেছিলাম তিস্তা দিয়ে কলকল করে পানি আসবে। কিন্তু আমাদের অপেক্ষার শেষ হলোনা। তিনি চাইলেন পানি, দিল বিদ্যুৎ। চাইলেন কামান, তারা দিল বিস্কুট কিংবা ললিপপ।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, তিস্তার পানির বিষয়ে মমতা মোদির চেয়েও বড়। তাকে পাশ কাটিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এ চুক্তি সই করতে পারবে না। চেয়েছিলাম পানি, পেলাম বিদ্যুৎ কথাটি প্রধানমন্ত্রী দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়েই বলেছেন।
তিনি বলেন, তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিষয়ে আগে মমতার সঙ্গে সমঝোতা করা দরকার ছিলো। এরপর দিল্লি গেলে ভালো হতো। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে হেরে গেলেন, এটা আমাদের ভালো লাগেনি।
নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে বি চৌধুরী বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ভোট পরিচালনায় ১০ বা ১১ জনের মন্ত্রিসভা হবে। অর্ধেক তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিকে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন দলটিকে। প্রশাসনিক কুটচাল না হলে এটা ভালো প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী ফের দিতে পারেন।
এইচটি/এসজে