বাংলাদেশে ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ৬৯৯ জন শ্রমিক নিহত এবং ৭০৩ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৮ জন ছিলেন নারী শ্রমিক এবং আহত নারী শ্রমিকের সংখ্যা ১৭৪।
রোববার ‘শ্রম পরিস্থিতি-২০১৬ : শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স শ্রম অধিকার বিষয়ে সাংবাদিকদের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করে।
এ বিষয়ে জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বিল্স একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতায় ১৮৯ জন শ্রমিক নিহত হন যাদের মধ্যে ৪০ জন নারী শ্রমিক এবং আহত হন ৩৯০ জন যাদের মধ্যে ৮১ জন নারী শ্রমিক।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৯ জন শ্রমিক নিহত হন যাদের মধ্যে ৩৪ জন নারী শ্রমিক এবং আহত হন ৯৬ জন যাদের মধ্যে ১২ জন নারী শ্রমিক। শ্রম অসন্তোষ ও শ্রমিক আন্দোলনের ঘটনা ঘটে ২৩৭টি।
সেমিনারে বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, বিল্স নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ, প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর কোহিনূর মাহমুদ ও নাজমা ইয়াসমিন, ইনফরমেশন কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ আল-মামুন, রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর মো. মনিরুল ইসলামসহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালে কর্মক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্ঘটনা, সহিংসতা ও শ্রম পরিস্থিতি এবং পাঁচটি কর্মক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা ও মজুরি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, শ্রমিকদেরকে সুরক্ষা ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিতকরণে আইন বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া পরিবহন ক্ষেত্র, নিরাপত্তাকর্মী, হোটেল/রেস্তোরা, রি-রোলিং এবং হাসপাতাল/ ডায়াগনেস্টিক সেন্টার নিয়ে এই পাঁচটি কর্মক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা ও মজুরি বিষয়ক অপর একটি গবেষণাও বিল্স সম্পন্ন করেছে।
সি/