বিগত ১৬ বছর মেধার শীর্ষে ছিল দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এবারও এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যানে মেধার শীর্ষে রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
এরমধ্য দিয়ে মেধার শীর্ষস্থানটি টানা ১৭ বছর ধরে রাখলো স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি। মেধাবী শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলীর পরিচর্যা ও অভিভাবকদের সার্বক্ষনিক তদারকিতে এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম। এতে কলেজিয়েট স্কুলের ৪৫২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪২৪জন।
ফলাফলের খবর যখন স্কুলে এসে পৌঁছায় আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। তারা নাচানাচি, হৈ হুল্লোড় করা ছাড়া জীবনের আনন্দময় এই মুহূর্তকে ক্যামেরা বন্দি করে যাচ্ছিল একের পর এক।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের চোখে মুখে ছিল হাসির ঝিলিক আর আনন্দের আলোকছটা। শিক্ষার্থীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত ছিল। কেবল শিক্ষার্থীরা নয় অভিভাবকরাও একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি জড়িয়ে ধরছিল একে অন্যকে।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ছাড়াও স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে ছিল প্রাণ চাঞ্চল্য। তৃপ্তির অপরূপ সুখ যেনো তাদের সারা দেহ আর মনে। নিজেদের পরিচর্যায় সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের আনন্দ উল্লাস দেখে আত্মায় প্রশান্তির পরশ অনুভব করছিলেন শিক্ষকরা। ফলাফলের খবর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ স্কুলের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরাও।
এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী ফুয়াদ হাসানের সঙ্গে কথা হয় আরটিভি অনলাইনের। ফুয়াদের অনুভূতির কথা জানতে চাইলে সে জানায়, আজ আনন্দের সীমা নেই। চোখে মুখে রাজ্য জয়ের সফলতা নিয়ে সে জানালো শিক্ষকদের আন্তরিকতা, দক্ষতা আর পরিচর্যায় আমাদের এই সফলতা।
একই সঙ্গে আমাদের মা-বাবা সার্বক্ষনিক যেভাবে পাহারা দিয়ে রেখেছেন ভাল ফলাফল করার পেছনে তাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। বড় হয়ে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করার প্রত্যাশার কথা জানালো সে।
দিবা শাখার শিক্ষক মোহাম্মদ আনোয়ার আরটিভি অনলাইনকে জানান, বিগত ১৭ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে মেধার শীর্ষে অবস্থান করছে। স্কুলের দক্ষ শিক্ষক, উন্নত ল্যাব, সর্বোপরি শিক্ষকদের পরিচর্যার কারণে শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করতে সক্ষম হয়। তবে এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও কৃতিত্ব রয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন জানান, আমি এই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি বিগত ৩ বছর। ৩ বছরই মেধার শীর্ষে অবস্থান করছে আমার এই প্রতিষ্ঠান। তাছাড়া আমি আসার আগেও বিগত ১৪ বছর ধরে মেধার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই আমরা। এসএসসি ফলাফলে মেধার শীর্ষে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
আর/জেএইচ