টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০১৭ , ০৮:২৬ এএম


টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’

কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।

বিজ্ঞাপন

ঝড়ে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

আজ (মঙ্গলবার) ভোরে এখানে আঘাত হেনে এটি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বইছে ঝড়ো হাওয়া, এগিয়ে আসছে উকূলের দিকে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এখানে দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন হোটেলে যারা আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আর উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর থাকবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় মোরাকে অবহেলার সুযোগ নেই। এতে স্বাভিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

জেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission