চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামে পারিবারিক কলহে দেবরের লাথিতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দেবর সাহেব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহারুন নেছা। রাতেই গোপনে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
নিহত শাহারুন নেছা উপজেলার দেহাটি গ্রামের ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মোশারফ হোসেন বলেন, ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাই। বাড়ির রাস্তা নিয়ে আমার ভাই সাহেব আলীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শাহারুন নেছা ও সাহেব আলীর তর্ক হয়। একপর্যায়ে সাহেব আলীর লাথিতে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
শাহাপুর পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক জমির হোসেন জানান, হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার পর অভিযুক্ত সাহেব আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেননি।
জিএম/এসকে