সবুজ পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল যেন প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধ। পাহাড় কেটে বন উজাড় আর অপরিকল্পিত বসতি স্থাপনের ফলে বেড়েই চলেছে একেরপর এক পাহাড় ধসের ঘটনা।
সবুজে ঘেরা সারিবদ্ধ এ পাহাড়গুলো চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এ নৈসর্গিক দৃশ্যের টানে প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে যান পাহাড়ে। কিন্তু বছরের একটা সময় যেনো মৃত্যুফাঁদ হয়ে ওঠে এসব পাহাড়।
প্রতিবছরই পাহাড়ধসে প্রাণ যায় কিছু মানুষের। এবারো গেলো কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশ, রাউজান ও বাঁশখালীতে পাহাড়ধসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাঙামাটি বান্দরবানসহ নিহত হয়েছেন ১৫২জন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রভাবশালী একটি মহল অনুমোদন না নিয়ে এবং কোনো রকম ঝুঁকির তোয়াক্কা না করেই পাহাড়ে বসতি গড়ে তুলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস এবং প্রশাসনের উদাসীনতা এজন্য দায়ী।
চট্টগ্রাম নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রোভিসি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এবং অপরিকল্পিত এসব বসতিকে মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করছেন।
এদিকে, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকা সত্ত্বেও থামছে না এ মৃত্যুর মিছিল। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং এর নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তবে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছেন তাদের জন্য বিকল্প নিরাপদ বাসস্থান নির্মাণে সরকারের সহায়তা কামনা করছেন স্থানীয়রা।
আরকে/এমকে