প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি যুবক 

জামালপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২ , ০৭:৫১ পিএম


প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া গেল বাংলাদেশের যুবক 

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন জামালপুরের এক যুবক। সেখানে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিয়ে করেছেন প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে।

বিজ্ঞাপন

রোববার ( ১৩ নভেম্বর) ওই যুবকের পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইন্দোনেশিয়া যাওয়া ব্যক্তি হলেন, জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মো. মিজানুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক (২৭)। তিনি একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট মুসলিমা ডটকম নামে একটি সাইডে অ্যাকাউন্ট করেন তানজিলুর রহমান অর্ক। এরপর তার সঙ্গে কথা হয় সিতি মারিয়া (২৩) নামে এক নারীর। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ৪০ মিনিটের দূরে বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রবিন্স নামক এলাকায় বাস করেন সিতি মারিয়া। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিতি মারিয়া। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। লেখাপড়া শেষে সিতি মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কোরআন-হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

এদিকে মুসলিমা ডটকমে পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলতে বলতে প্রেম হয় দুজনের। এরপরই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। নানা জটিলতা শেষ করে গত ১৮ অক্টোবর বিমানযোগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশে পাড়ি জমান অর্ক।

মোবাইল ফোনে তানজিলুর রহমান অর্ক আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়াতে আসার কথা ছিল। করোনার কারণে ভিসা বন্ধ ছিল। ভিসা চালু হওয়ার পর, আবারও ভিসা জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে আসতে দেরি হয়েছে। এখানে এসে কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিয়ে করেছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর সিতিকে বাংলাদেশে নিয়ে যেতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন। এসব করতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।

মোবাইল ফোনে সিতি মারিয়া আরটিভি নিউজকে জানান, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সরল। এখানে কাগজপত্র ঠিক হলেই, আমি বাংলাদেশে যাব।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission