নড়াইলে ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪ , ১২:২৯ এএম


আসমা খানম নামে নড়াইলের এক প্রসূতির মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত

ভুল অস্ত্রোপচারে আসমা খানম নামে নড়াইলের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। 

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের আলাল শেখের প্রসূতি মেয়ে আসমা খানম গত ২৮মে (মঙ্গলবার) সিজারের জন্য নড়াইল শহরের পপুলার সার্জারী এন্ড নার্সিং হাসপাতালে ভর্তি হন। 

দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. নুরুজ্জামান তাকে  সিজার করেন। এ সময় তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু বেডে দেওয়ার আধা  ঘণ্টা পর থেকে ব্লিডিং শুরু হয়। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় এক ঘণ্টা পর ফের অপারেশন করেন ডাক্তার নুরুজ্জামান। এরপরও ব্লিডিং বন্ধ না হয়ে প্রসূতির অবস্থার আরও অবনতি হয়। 

বিজ্ঞাপন

পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যতাকে  ঢাকা  মেডিকপল কলেজে নিয়ে যান স্বজনরা।
 
সেখানে আইসিইতে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা, কিন্তু আইসিইউ ফাঁকা না থাকায় তাকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে   ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে তাকে লাইফ সার্পোটে নেওয়া হয়। 

রোগীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা  ভালা না থাকায় সেখান থেকে তাকে মুগদা হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার (১ জুন) রোগীক মুগদা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের  ২০ মাস বয়সের একটি ছেলে সন্তান আছে । 

আসমার বোন হুসনা খানম বলেন, নড়াইলের চিকিৎসক আমার বোনের দ্বিতীয়বার অপারেশন করলেও প্রথমে আমাদের কিছুই জানাননি। পরে ডাক্তার জানিয়েছেন, রোগীর জরায়ুতে টিউমার ছিল। তাই ব্লিডিং বন্ধ করতে অপারেশন করেছেন। রোগীর মাংসের ভিতর দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন  অঙ্গ দিয়ে রক্ত ছেড়ে দিচ্ছিল । ঢাকার চিকিৎসকেরা বলেছেন ‘আপনারাতো রোগিকে  মেরেই নিয়ে এসেছেন’। 

বিজ্ঞাপন

আসমার বাবা আলাল শেখ বলেন, মেয়েকে নড়াইল থেকে ৪ ব্যাগ এবং ঢাকায় ৩০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া লেগেছে। আমরা গরীব মানুষ, কৃষি কাজ করি। ধার দেনা করে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ করেও মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। 

মামলার বিষয় তিনি বলেন, এখন আর মামলা করে কি হবে। তবে আমাদের একটিই দাবি এভাবে যেন কোনো রোগী ভুল অপারেশনে মারা না যায়। কেউ যাতে এভাবে ভোগান্তিতে না পড়ে।

এ বিষয় চিকিৎসক ডা. নুরুজ্জামান বলেন, প্রসূতির অপারেশনে কোথাও ভুল ছিল না। রোগির অবস্থা  একবারে খারাপ ছিল না। সে হেটে চলাফেরা করছিল। রোগির স্বজনরাই জোর করে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে গেছে। 

নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয় খাঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission