• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo

ড্রাইভার আবেদ আলী ও ‌হোটেল সান মেরিনার কী সম্পর্ক

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৯ জুলাই ২০২৪, ২১:৫৪
সংগৃহীত ছবি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত ‘হোটেল সান মেরিনা’। এ হোটেলটির নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি, তবে এ হোটেলটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে এ হোটেলটি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরে কুয়াকাটায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে নানা রকমের পোস্ট দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদ আলীর বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায় অবস্থিত। তার বাবার নাম আবদুর রহমান মীর। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় পোস্টার-ব্যানার টানিয়েছেন। গত ১৮ মে আবেদ আলী তার ফেসবুক পেজে এ হোটেল নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। তবে গত দুদিন ধরে এ বিষয়টি কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ উপকূলের মানুষের চোখে পড়ে।

সান মেরিনা হোটেল নিয়ে আবেদ আলী তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। সমুদ্রকণ্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার কিনতে যোগাযোগ করুন।

সান মেরিনা হোটেলটি এখনও নির্মিত হয়নি। এখানের জায়গা খালি পড়ে আছে। সামনের অংশে ৭-৮ টি টিনশেড দিয়ে তৈরি রুম আছে। এ ছাড়া হোটেলটি কোন ডিজাইনে হবে তার ছবি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড ঝোলানো রয়েছে হোটেলের নির্ধারিত জায়গার সামনের অংশে। ২০১০ সালে এ হোটেলের মূল মালিক দাবিদার মো. মোশারফ হোসেন আবাসিক হোটেল নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।

সান মেরিনা হোটেলটির বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অনুসন্ধান করলে জানা যায়, এই হোটেলটির মালিক লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন। গ্রুপটি পিডিবি (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), রুরাল ইলেট্রিফিকেশন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ঠিকাদার হিসেবে সাব স্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকেন।

সান মেরিনা হোটেলে কর্মরত মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি মোশারফ স্যারের অধীনে অদ্যাবধি ৮ বছর যাবত চাকরি করছি। সৈয়দ আবেদ আলী নামে কাউকে আমি দেখিনি। তবে তিনি কয়েকমাস আগে এখানে এসে হোটেলের শেয়ার নেওয়ার জন্য আলোচনা করছেন। তখন আমি তাকে মোশাররফ স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলছি। তখন একটা ছবি তুলতে দেখছি আমাদের হোটেলের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে।

সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, গত দুই-তিন মাস আগে সৈয়দ আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে অপর একটি হোটেলে এসে ওঠেন। পরদিন সকালবেলা আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানায়। তখন সে আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যায়। এ পর্যন্তই। আসলে আমি কখনও তাঁকে দেখিনি এবং চিনিও না।

তিনি আরও বলেন, আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। আমি এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব।

মন্তব্য করুন

Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কলাপাড়ায় আইনজীবীদের হট্টগোল, এজলাস ছাড়লেন বিচারক
৪০তম বিসিএস থেকে ২০৮ জনের নিয়োগ
৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত
গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হলো বৃদ্ধার মরদেহ