আমনের বাম্পার ফলন, সোনালি ধানে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
পটুয়াখালীর উপকূলে এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠজুড়ে সোনালি ধানে দুলছে হাজারও কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা ও পরিশ্রমের ফল অবশেষে দেখতে পেয়েছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।
কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ বছর বর্ষা মৌসুমে যথাসময়ে বৃষ্টি থাকায় ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৭০০ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ শেষে অনেক জায়গায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী কিছু প্রয়োজনে ২০২৩-২৪ কর্মসূচির আওতায় উপকূলের ১ হাজার ৮৯০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জন প্রতি ৫ কেজি ধানবীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষক শাহেদ আলী বলেন, এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো।
আরেক কৃষক খলিল সিকদার বলেন, এবার ফসল অনেক ভালো হয়েছে। এখন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে কৃষকেরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল এবং আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর কলাপাড়ার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে সোনালি আমন ধানের চাহিদা বেড়েছে, যা কৃষকদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
আরটিভি/এএএ/এস
মন্তব্য করুন