দরিদ্র শিশুদের স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন করা সরকারের লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
দরিদ্র শিশুদের স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে মাতৃভাষা বলতে ও লিখতে পারে এবং পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়, এটাই প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য। দরিদ্র মানুষের শিশুরাও যেন বিশেষ সুবিধা পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন হতে পারে এটাই সরকারের লক্ষ্য।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, উন্নত জাতি গড়তে শিক্ষার বিকল্প নেই, যা মানুষের চরিত্রের পরিবর্তন ঘটায় তাই শিক্ষা। তবে এই পরিবর্তন হওয়া উচিত নৈতিকভাবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্কুল ফিডিং প্রকল্প’ ইতোমধ্যে অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রথমে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে। যে অঞ্চলসমূহ তুলনামূলক দরিদ্র, সেই অঞ্চলসমূহ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত। ক্রমান্বয়ে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম চালু করা হবে।
শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীদের মনোরম পরিবেশে পাঠদানের পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য বিদ্যালয়সমূহে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। এর ফলে ঝরেপড়া শিশুর সংখ্যা কমে আসবে।
শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান ও গণিতবিষয়ক শিক্ষক নিয়োগ পাচ্ছেন, এতে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে ভালোভাবে প্রাথমিক ধারণা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, চরাঞ্চলের বিদ্যালয়সমূহে চরভাতা, মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকগণের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি, শিক্ষকগণের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ প্রভৃতি বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান প্রমুখ।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন