চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগের রূপসী আবাসিক হোটেল থেকে রুবেল হাসান রাফি (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া।
হোটেলের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা রোববার দুপুরে হোটেলের ৯ নম্বর কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর মডেল থানাকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বিকেল ৩টায় পুলিশ হোটেল কক্ষ থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে।
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা আদুর ভিটি গ্রামের হাবিব উল্ল্যা সরদারের ছেলে রুবেল হাসান রাফি। তবে পরিবারের দাবি, রুবেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হোটেল কক্ষে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া, ওসি (তদন্ত) মিন্টু দত্ত, এসআই আওলাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন এসআই আওলাদ।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গ্লোব ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন রুবেল। শনিবার সকালে কোম্পানির মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে নোয়াখালী যায়। ওই দিন রাতেই তার বাড়ি ফেরার কথা। কিন্তু রাত ৮টার পর পরিবারের কোনো লোকজন তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। কারণ তার মোবাইল বন্ধ ছিলো। মোবাইলে না পেয়ে শনিবার রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি প্রকাশ পায়। ২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগের রূপসী হোটেল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুবেলের বোন শাহিনূর বলেন, শনিবার রাত ৮টায় আমার সঙ্গে ভাইয়ের সর্বশেষ কথা হয়। ভাই ১০টার মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসবে বলেছিলো। আমার সঙ্গে কথা বলার পর ভাইকে রাতে ফোন দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাই। আর তার খবর পাই না। রোববার জানতে পারি, আমার ভাইয়ের মরদেহ আবাসিক হোটেলে ঝুঁলানো ছিল। আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। কেউ মেরে ঝুঁলিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা এই ছেলে কার সঙ্গে হোটেলে উঠেছিল বা ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই তদন্তে বের করতে পারবো বলে আশা করছি।
আরটিভি/এমকে