টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বেপরোয়া গতির দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে উপজেলার আনালিয়া বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ি এলাকায় দুপুর ২টার দিকে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে সঙ্গে ঢাকা থেকে ছেড়ে এইচপি পরিবহন বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের ৪০ যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মহাসড়কটিতে বেশ কিছু সময় যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে বাস দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনাকবলিত শ্যামলী পরিবহন বাসের যাত্রী হাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি বারবার নিষেধ করলেও চালক তা শোনেননি, যার ফলস্বরূপ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
অপর বাসের যাত্রী মনির হোসেন জানান, তাদের বাসের চালকও বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, ওই চালক এর আগেও সিরাজগঞ্জ এলাকায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু পূর্ব থানা উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিম উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪০ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহায়তা প্রদান করে। দুটি বাসের চালক ও সহকারী দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরটিভি/এএএ-টি