কক্সবাজারে ঈদের তৃতীয় দিনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। আজ সকাল থেকেই সৈকতের মূল তিনটি পয়েন্ট কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী ছাড়াও পাথুরে সৈকত ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রাকৃতিক ঝরনার হিমছড়িসহ জেলার অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের আনাগোনা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের বিচরণে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ঢেউয়ের তালে সকাল থেকেই গোসলে নেমে পড়ে অনেক পর্যটক। অনেকে সৈকতের ঘোড়া, জেটস্কি, ওয়াটার বাইক, টিউব নিয়ে মনের ঘুরছেন। কেউ কিটকট ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
এসব স্পটে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। পাশাপাশি রয়েছে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় রাত দিন দায়িত্ব পালন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে ৩ স্তরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জারি রয়েছে। মূল ৩টি পয়েন্টে আলাদা আলাদা তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে সৈকতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত লাইফ গার্ড কর্মীরা জানান, ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তিনটি পয়েন্টসহ আবাসিক হোটেল গুলোতে দেড় দুই লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজে শতভাগ বুকিং হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সবমিলিয়ে কক্সবাজারে ২ লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন। এই ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার সার্বিক নিরাপত্তা ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন পর্যটকরা।
আরটিভি/এমকে/এস