রাঙামাটিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান
ভোটের আগে এসে পাল্টে গেল রাঙামাটির ভোটের চিত্র। দলীয় কোন্দলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রবীন্দ্র লাল চাকমা সুজনের নেতৃত্বে তিন শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার সবচেয়ে বড় চমকটা দেখল রাঙামাটিবাসী।
ভোটের হিসেব পাল্টে দিতে পারে এ চিত্র। প্রতীক পেয়ে জোর প্রচারণায় নেমেছিলেন বিএনপি প্রার্থী মনি স্বপন। প্রথমদিকে প্রচারণায় জোয়ার দেখা গেলেও ভোটের আগের দিন তাতে ভাটা পড়ে। মনি স্বপনের সাথে জেএসএস এর গোপন আঁতাতের গুঞ্জনই মূল কারণ।
অপরদিকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত লংগদু, কাপ্তাই, বাঘাইছড়িতেও শত শত নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদারের পক্ষে সমর্থন দিয়ে দলে যোগ দিয়েছে বলে আরটিভি অনলাইনকে জানান আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপঙ্কর তালুকদার। এতে ভোটের আগে ফুরফুরে মেজাজে আছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
মনি স্বপন দেওয়ান প্রার্থী হওয়ায় নীরব ভূমিকা পালন করে জেলা বিএনপির সাবেক নেতা পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরীসহ অনেকে। তাদের ভোট নানা কারণে যোগ হবে নৌকায়।
বৃহস্পতিবার রাতে নৌকার পক্ষে খণ্ড খন্ড মিছিল এসে জড়ো হতে থাকে পৌরসভা চত্বরে এতে যোগ দেয় বিএনপির সাবেক নেতাকর্মীরা। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সমিতি, সংগঠন নৌকার পক্ষেই সমর্থন দেন। ৩০ ডিসেম্বর রাঙামাটিতে নৌকার বিজয় হবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।
পাহাড়ের যেসব গ্রামে জেএসএস এর প্রভাব আছে সেসব এলাকায় সিংহ প্রতীকে ঊষাতন তালুকদার ভোট বেশি পড়তে পারে বলেও জানান অনেকে।
গত নির্বাচনে জেএসএস ৫৩টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী। এবার নির্বাচনে প্রত্যেকটা ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকবে। ভোট কারচুপি করার সুযোগ পাবে না বলেও জানান তিনি।
বিগত স্থানীয় নির্বাচনে সাধারণ লোকজন মার্কা বা ব্যক্তি দেখে নয়; উন্নয়ন দেখেই ভোট দিয়েছে রাঙামাটিতে। এবার সংসদ নির্বাচনে সেই হিসাব করছে ভোটাররা। শেষ বেলা কে হাসে বিজয়ের হাসি সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ৩০ তারিখ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন :
আরএস/জেএইচ
মন্তব্য করুন