আরো এগিয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ তথা এলডিসির তালিকা থেকে বের হয়ে আসবে বাংলাদেশ। নিয়মানুযায়ী মাথাপিছু আয়, মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা— এ তিন সূচকের মধ্যে কমপক্ষে দু’টিতে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। যদিও ২০১৮ সালেই প্রয়োজনীয় লক্ষ্যগুলো প্রাথমিকভাবে অর্জন করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকাটাডের নতুন রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) শনিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৮টি দেশের জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার বিশ্লেষণ করে আংকাটাড তাদের ১৮তম রিপোর্ট প্রকাশ করে। সব সূচকে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তবে অগ্রগতি হলেও উন্নয়নে অবদান কমছে কৃষি ও প্রাকৃতিক সম্পদের। কর্মসংস্থানও বাড়েনি উল্লেখযোগ্য হারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে মধ্য আয়ের দেশের জন্য বিবেচিত হবে। ২০২৪ সালে এ তালিকা থেকে বের হয়ে আসবে। ২০২৭ সালের পর এলডিসির কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবে না বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে ২৫টি এলডিসিভুক্ত দেশ ছিল, এখন রয়েছে ৪৮টি। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এখান থেকে ১০টি দেশ বের হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে গেছি। কারণ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছতে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ১ হাজার ২৬ ডলার মাথাপিছু আয় প্রয়োজন। এটা আমরা ছাড়িয়ে গেছি।’
সিপিডির সম্মানিত রিসার্চ ফেলো ড . দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের কাছাকাছি গিয়েও পারেনি। কারণ তাদের সামাজিক স্থিতিশীলতা ছিল না।’
এমসি/ এস