অপহৃত শিশু উদ্ধার, টাকাসহ অপহরণকারী আটক
বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের উরবুনিয়া গ্রাম থেকে অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর তিন মাসের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী নারীকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে চুরি করে নেওয়া দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকৃত শিশু আবদুল্লাহকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
অপহরণের অভিযোগে আটক নারীর নাম জেসমিন। তিনি উরবুনিয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে। থানায় আনার পরেই জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
উরবুনিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন সিকদার জানান, রোববার সকাল ১০টার দিকে তার সৎ বোনের মেয়ে জেসমিন তাদের বাড়িতে আসে। প্রায় ১০ বছর পর ভাগ্নি বেড়াতে আসায় তারা আদর-আপ্যায়ন করে বসতে দেয়। কিছুক্ষণ পর জেসমিন সাড়ে তিন মাসের মামাতো ভাই আবদুল্লাহকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। একপর্যায়ে শিশুটিকে নতুন জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয় জেসমিন। এর আগে সে তার খালার দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা চুরি করে। টাকা ও শিশুটিকে নিয়ে রাস্তায় এসে বরিশাল যাওয়ার কথা বলে একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করে। পরে সেই মোটরসাইকেলে বরিশালের দিকে রওনা দেয়।
অন্য মোটরসাইকেল চালকদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে নাসির উদ্দিন সিকদার বরগুনা থানায় গিয়ে শিশু অপহরণের অভিযোগ করেন।
বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগের পরে তারা পার্শ্ববর্তী জেলার থানাগুলোতে খোঁজ করেন। রাতে পটুয়াখালী থানার মাধ্যমে জানতে পারেন ঝালকাঠী জেলার কাঁঠালিয়ায় এক নারীকে শিশুসহ আটক করা হয়েছে। পরে বরগুনা থানা পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারী জেসমিনকে আটক করে। এ সময় তার কাছে দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অপহরণকারী জেসমিনকে থানায় আনার পরেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেসমিনের বিরুদ্ধে শিশু অপহরণ ও টাকা চুরির পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন