হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর ফাঁসি, শ্বশুরের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হালদ গ্রামের শুক্কুর আলী হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আফজল ও হেলেনা স্বামী-স্ত্রী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আমির উদ্দিন আফজলের বাবা।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এই আদেশ দেন। মামলার অন্য দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে দলিল করে না দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ছয় ডিসেম্বর ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় শুক্কুর আলীকে। এরপর তার মরদেহ বাঞ্ছারামপুরে মরিচাকান্দি মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হালদ গ্রামের শুক্কুর আলী ওই গ্রামের আফজলের কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করে। জমির দাম পরিশোধ করলেও দলিল করে দিতে তালবাহানা করছিল আফজল। জমির দামের টাকা আত্মসাতে শুক্কুরকে হত্যার পরিকল্পনায় আফজলের স্ত্রী হেলেনা তার বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিয়ে আসে।
সেখানে শুক্কুরকে হত্যার পর রূপগঞ্জের হালদ গ্রামে ফিরে যায় হেলেনা ও তার স্বামী। শুক্কুরের পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসায় হেলেনা জানায়, শুক্কুর তাদের আগেই বাড়ি ফিরে এসেছে। পরে এলাকাবাসীর চাপে তারা স্বীকার করে শুক্কুরকে হত্যার কথা। এরপর রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ১৫ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন হেলেনা। অজ্ঞাত হিসেবে শুক্কুর আলীর মরদেহ উদ্ধারের পর মরিচাকান্দির চৌকিদার শাহ আলম বাদী হয়ে আট ডিসেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা করেন। পরে এই মামলায় হেলেনা বেগম, তার স্বামী আফজল মিয়া, হেলেনার শ্বশুর আমির উদ্দিন, সুমন ও ওমর ফারুক নামে মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। আদালত সুমন ও ওমর ফারুককে খালাস দিয়েছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন