করোনা সন্দেহে ফমেক’র ছাত্রকে ঢাকায় প্রেরণ
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এর ৫ম বর্ষের অধ্যয়নরত এক ছাত্রকে (২৫) করোনাভাইরাস রয়েছে সন্দেহে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাকে ঢাকায় আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, তার শরীরে করোনাভাইরাস রয়েছে প্রাথমিকভাবে এমনটা মনে হয়েছে আমাদের। আর এ কারণেই তাকে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরে সর্বাধিক সংখ্যক বিদেশি আসার কথা বিবেচনা করে করোনার বিস্তার রোধে প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে সর্বোচ্চ। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সেনাবাহিনীর টহল ছাড়াও জেলা পুলিশ মহাসড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছে। তারা একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে চলাচল না করে এবং প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে না আসে সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
অপরদিকে মাদারীপুর জেলার সঙ্গে ফরিদপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রাখতে চারটি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট অব্যাহত রয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত রয়েছে এই দুর্যোগের সময়ে অতি দরিদ্রদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা দেয়ার। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি এরই মধ্যে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করার জন্য। অনেক জায়গায় সেটা শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমি জেলা বাসিকে অনুরোধ করবো আপনারা সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটি মেনে ঘরে থাকুন। আমরা জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে রয়েছি সব সময়। একই সঙ্গে বলবো কোনও গুজবে কেউ কান দিবেন না।
তিনি আরও বলেন, জেলার দুটি সরকারি হাসপাতালে ৮৫টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। একই সঙ্গে ২টি অ্যাম্বুলেন্স ও ৩৫টি আইসোলেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতুল সরকার বলেন, ৯টি উপজেলার খাদ্য সহায়তা বিতরণ কর্মসূচিতে ৩১শ’ ০৬টি পরিবারের জন্য ১১৫ মে. টন খাদ্য ও নগদ ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মজুদ রয়েছে ১৯২ মে. টন খাদ্য ও ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরপরেও আরও কিছু জায়গা নির্ধারণ করে রাখা হচ্ছে আইসোলেশনের জন্য।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়। এর ভেতর ছুটি দেয়া হয়েছে ৫৩৪ জনকে।
এসএস
মন্তব্য করুন