ভারত থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান এলো চট্টগ্রামে (ভিডিও)
পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের কলকাতা থেকে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের জন্য পণ্যের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে জাহাজ এমভি সেঁজুতি। পণ্যবাহী চারটি কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাবে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্যে। আজ ভোরে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এসে পৌঁছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী দুপুর একটার দিকে এমভি সেঁজুতি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে এসে ভিড়েছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস করে সড়ক পথে পণ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের জাফর আলম বলেন, অন্য জাহাজগুলোকে যে পক্রিয়ায় বন্দরে আসতে হয়েছে একই প্রক্রিয়ায় এই জাহাজটিও এসেছে। বাড়তি কোনও সুবিধা দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ( প্রশাসন ) মো. জাফর আলম আরটিভি নিউজকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বার্থিংয়ের বর্তমান যে নিয়ম রয়েছে, সেই অনুযায়ীই এসব জাহাজের বার্থিং হবে। অর্থাৎ যে জাহাজটি আগে আসবে, সেটি আগে জেটিতে ভিড়বে।
জাহাজের মালামাল খালাসের ক্ষেত্রে আলাদা কোনও সুবিধা পাওয়ার বিষয় নেই। এছাড়া বন্দরের সব ধরনের ফ্রিও আদায় করা হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রানজিটের সুবিধা থাকলে বন্দরের মান উন্নতি হয়। আন্তর্জাতিকভাবে বন্দরের সুনাম আরও বাড়বে। বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজ বন্দর সীমানায় আসার পরেই বন্দর-কাস্টমসের যে মাশুল প্রাপ্য সেটা ক্লিয়ার করা হয়েছে।
জাহাজটিতে মোট ২২১ কনটেইনার পণ্য এসেছে। এর মধ্যে চার কনটেইনার পণ্য ভারতের, যেগুলো খালাসের পর সড়কপথে আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর হয়ে ভারতে পৌঁছাবে। ভারতীয় পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব মাশুল আছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত পরিবহন খরচও পাবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে এমভি সেঁজুতি নামে পণ্যবাহী জাহাজে ভারতের চারটি কনটেইনারের দুটিতে রড এবং অপর দুটিতে ভোগ্যপণ্য ডাল আছে
জেবি
মন্তব্য করুন