মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ
চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশে পৌঁছেছে। ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৭। মার্চে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮১ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৩ সালের মার্চে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, এ বছরের মার্চে তা ১০৯ টাকা ৮১ পয়সায় কিনতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিএস জানায়, বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমলেও মার্চে আবার বেড়েছে। এ মাসে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯.৮৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে যেটি ছিল ৯.৪৪ শতাংশ। এদিকে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৩৩ শতাংশ, যা মার্চে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া মার্চে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৮৬ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৪১ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ০.৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯.৯৮ শতাংশ ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৭১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে তিন কারণে বাংলাদেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংকের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। চলতি অর্থবছরও এ উচ্চ মূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে। এ মূল্যস্ফীতি বাড়ার পেছনে তিনটি মূল কারণ থাকতে পারে বলে মনে করে তারা। এ তিনটি কারণ হলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বিদেশি মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানি সংকোচন ও জ্বালানি সংকট বহাল থাকবে, যার কারণে বিদ্যুতের দাম আরো বাড়তে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির রাশ আরো টেনে ধরা দরকার বলেও সংস্থাটি অভিমত দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের প্রধান আবদুল্লায়ে সেক বলেন, সুদের হার বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতির এই ভঙ্গি সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন