বেনজীর-ইনুসহ ৯ এমপি-প্রতিমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ তিন এমপি ও তিন প্রতিমন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের নিজের ও যৌথ নামে প্রতিষ্ঠানের খোলা ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পারবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা অন্য ব্যক্তিরা হলেন- ঢাকা-১৯ আসন সাবেক এমপি ও সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানায় থাকা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব লেনদেন বন্ধ থাকবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ২ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা ব্যাক্তিদের মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে আর কয়েকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। আর পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
আরটিভি/এমএ/এসএ
মন্তব্য করুন