আজকে স্বর্ণের দাম (৩১ ডিসেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
সবশেষ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সেই হিসেবে আজকে স্বর্ণের দাম
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা।
১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে
নতুন বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময় ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাওয়া যাবে না। একই সঙ্গে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মূল ব্যাংকিং সেবা আগামী ১ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির কোনও গ্রাহক শাখায় যেমন লেনদেন করতে পারবেন না, তেমনি ব্যাংকটির এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট সাত দিন বন্ধ থাকবে। তবে এই বন্ধের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও বছরের প্রথম দিন হিসেবে ব্যাংক হলিডে রয়েছে। সেই হিসাবে মূলত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেন বন্ধ থাকবে দুই দিন।
বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংক হলিডে। ৩ ও ৪ জানুয়ারি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এর ফলে মূলত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ৫ জানুয়ারি রবিবার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের শুরুর সময়টাতে ব্যাংকিং লেনদেনের চাপ কম থাকে। তাই গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য আমরা এই সময়টাকে বেছে নিয়েছি।
আরটিভি নিউজ
আজকে স্বর্ণের দাম (৬ ডিসেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
সবশেষ রোববার (১ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আজকে স্বর্ণের দাম
২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।
২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা।
১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা।
আরটিভি/কেএইচ
বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলো বিক্রি হচ্ছে!
বাংলাদেশের গ্রুপ কোম্পানিগুলোর একটি বেক্সিমকো। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ছোট-বড়, জানা-অজানা মিলিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানির সংখ্যা ১৬৯। কোম্পানিটি ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মালিকানায় দুই ভাই থাকলেও কর্তৃত্ব বেশি রয়েছে সালমান এফ রহমানের। তার হাত ধরেই প্রতিষ্ঠানটি ওষুধশিল্প, সিরামিক, নবায়নযোগ্য শক্তি, টেক্সটাইল, এলপিজি, খাদ্য ও পানীয়, স্যাটেলাইট থেকে হোম টেলিভিশন, পিপিই, মিডিয়া, আইসিটি, রিয়েল এস্টেট, আর্থিক পরিষেবা এবং ভ্রমণ ও পর্যটনসহ বিস্তৃত শিল্পে বিনিয়োগ করে।
এই প্রতিষ্ঠানটির পোশাক খাতের ১৬টি কোম্পানির মালিকানা বিক্রি করে দেবে বর্তমান সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গঠিত ১১ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর বাইরে এই গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধের পর বন্ধ করা হবে। তবে চালু থাকবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসসহ শুধু লাভজনক কোম্পানিগুলো।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ছোট-বড়, জানা-অজানা মিলিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানির সংখ্যা ১৬৯। এর মধ্যে পোশাক খাতের কোম্পানির সংখ্যা ৩২, যেগুলো উৎপাদনে রয়েছে। এই ৩২টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির মালিকানা বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৪ নভেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের ‘বেক্সিমকো শিল্প পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি’ গঠন করা হয়। ২৮ নভেম্বর ছিল এই কমিটির প্রথম বৈঠক। সেখানেই বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায় নথিপত্র থেকে।
সভায় বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ‘এ’ অর্থাৎ ভালো কোম্পানির শ্রেণিতে থাকবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। ‘বি’ শ্রেণিতে থাকবে ৩২টি কোম্পানি। আর বাকি সব কোম্পানি থাকবে ‘সি’ শ্রেণিতে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সভায় প্রস্তাব দেন, বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর শ্রেণি বিভাজনের। এই প্রস্তাবের ভিত্তিতে সভায় চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—প্রথমত, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিকদের আগামী তিন মাসের বেতন-ভাতার প্রয়োজনীয় অর্থ জোগান দেবে জনতা ব্যাংক। দ্বিতীয়ত, ‘বি’ শ্রেণির কোম্পানিগুলোর স্বত্ব বিক্রির জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) চূড়ান্ত করে ঋণদাতা জনতা ব্যাংক আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে জানাবে।
তৃতীয়ত, হাইকোর্টে চলমান রিটের জবাব তৈরির জন্য একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নিয়োগ করে প্রশাসকের কার্যপরিধি চূড়ান্ত করা। আইনজীবী নিয়োগের প্রয়োজনীয় খরচ দেবে অর্থ বিভাগ।
চতুর্থত, এক সপ্তাহের মধ্যে বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর শেয়ার হস্তান্তরের নিয়ন্ত্রণ নেবে কর্তৃপক্ষ, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকবে বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) ও বেক্সিমকোর প্রশাসকের হাতে। তবে এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আশিক চৌধুরী।
এর আগে জনতা ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বেক্সিমকোর কাছে জনতা ব্যাংক পাবে ২৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৯ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা মন্দ ঋণ (খেলাপি) হিসেবে শ্রেণিকৃত। বাকি প্রায় তিন হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা ওভারডিউ অবস্থায় রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যা মন্দ ঋণে পরিণত হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের মতে কোনো ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোনো একক গ্রাহককে ঋণ না দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ৪১০ শতাংশ ছাড়িয়ে আশঙ্কাজনক মাত্রায় ঋণগুলো দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আরটিভি/এএইচ/এস
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল
সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। তবে কী কারণে এ দাম বাড়ানো হয়েছে তা পরিষ্কার করেনি। দাম বাড়ার পেছনে অন্যান্য সময়ের মতো তেলের সংকটকে দায়ী করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরটিভি/এএইচ/এস
পোশাকশ্রমিকদের জন্য সুখবর
পোশাকশ্রমিকদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট হবে ৯ শতাংশ। আগের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে নিম্নতম মজুরির ৪ শতাংশ যুক্ত করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে এই ইনক্রিমেন্ট।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা বলেন, মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরফলে বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টে যে অস্থিরতা ছিল তা আর থাকবে না।
তিনি বলেন, পোশাক খাত নিয়ে দেশে-বিদেশে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। সেগুলো পাশ কাটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এই খাতকে এগিয়ে নিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে মালিক এবং শ্রমিকরাও একমত বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
জানা গেছে, আজকের বৈঠকে এক পর্যায়ে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা ইনক্রিমেন্ট ১০ শতাংশ দাবি করেন। তবে মালিকপক্ষ দিতে চান ৮ শতাংশ। পরে সবার সম্মতিক্রমে ৯ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এ বিষয়ে মালিক, শ্রমিক ও সরকারপক্ষের প্রতিনিধিরা এক যৌথ ঘোষণায় সই করেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ; জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম; বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবির আহম্মেদ; শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম এমাদুর হক, নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মো. হাসিবুজ্জামান ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান সিকদার।
আরটিভি/এফএ/এস
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৯৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৪৮১ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২ ডিসেম্বর থেকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৪ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
আরটিভি/একে/এস
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দরপতন ভারতীয় রুপির
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দরপতন ঘটেছে ভারতীয় রুপির। মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে ভারতীয় মুদ্রার মান।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ডলারের বিপরীতে প্রথমবারের মতো ৮৪.৮৫-এ নেমে আসে রুপির দর।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন চলছেই। সবশেষ মঙ্গলবার মুদ্রাটি ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। এদিন ডলার প্রতি ভারতীয় মুদ্রার দর দাঁড়িয়েছে ৮৪.৮৫ রুপি।
একইসঙ্গে ১০ বছরের সরকারি বন্ডের ফলন (বন্ডে বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত আয়ের হার) ২ বেসিস পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৯৫৪ শতাংশে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান কমেছিল। সেসময় ডলারের বিপরীতে রুপির দর ৮৪ দশমিক ৭৫-এ নেমেছিল। এবার সেটিকে ছাড়িয়ে ৮৪.৮৫ রুপির বিপরীতে মিলছে এক ডলার।
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর হিসেবে সঞ্জয় মালহোত্রার নিয়োগের ঘোষণার পর সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা বাড়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
মালহোত্রা বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বিদায়ী গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের ছয় বছরের মেয়াদ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর