কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের তিনটি গ্রেডে ভাগ করে সরকারি বেতন-ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (মাদরাসা অনুবিভাগ) এস এম মাসুদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসার উন্নয়নে ১০ বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা কওমি মাদরাসার উন্নয়ন চাই, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন চাই। সরকারের অনুমোদন পেলে এ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।’
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কওমি মাদরাসার জন্য চারটি গ্রেড বা শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৫০০-এর অধিক শিক্ষার্থী বিদ্যমান ও গত ২৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসাগুলো গ্রেড-১ এ অন্তর্ভুক্ত হবে।
৩০০-এর অধিক শিক্ষার্থী ও ১৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত মাদরাসা গ্রেড-২, ১০০-এর অধিক শিক্ষার্থী এবং পাঁচ বছর বা তার বেশি আগে স্থাপিত মাদরাসা গ্রেড-৩ এবং অন্যান্য সকল মাদরাসাকে গ্রেড-৪-এ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
কওমি মাদরাসাগুলোকে সরকারিভাবে গ্রেডভিত্তিক মাসিক সম্মানি চালুর কথা প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে। গ্রেড-১ ভুক্ত কওমি মাদরাসা প্রধানের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা ও চারজন শিক্ষকও একজন কর্মচারীর জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রেড-২ ভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে আট হাজার টাকা ও চারজন শিক্ষক এবং একজন কর্মচারীর জন্য পাঁচ হাজার টাকা, গ্রেড-৩ ভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার এবং চারজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা সম্মানি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ‘কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্প ২০২৫-৩৫ রূপকল্প’-এ সম্প্রতি এমন প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকার প্রস্তাবটির অনুমোদন দিলে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করা হবে।
আরটিভি/এফএ