দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘোষণা হওয়ায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ মে) রাত ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শহীদ মিনারের সামনে মিছিলটি শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; যমুনা থেকে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো; একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর; ইনকিলাব জিন্দাবাদ; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।’
মিছিলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোয়াখালীর সদস্য সচিব বনী ইয়ামিন বলেন, যে আওয়ামী লীগ গত ষোলো বছর যাবৎ আমাদের উপর জুলুমের স্টিম রোলার চালিয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ২ হাজারের অধিক ভাইদের শহীদ করেছে, পঞ্চাশ হাজারের অধিক ভাইদের আহতও পঙ্গু করেছে, সেই আওয়ামী লীগ আজ নিষিদ্ধ হয়েছে। আমরা ইন্টিরিমকে ধন্যবাদ জানাই এবং পরবর্তীতে কোনো ছল চাতুরী না করে আওয়ামী লীগকে সকল প্রকার নিষিদ্ধ করে সে দাবি জানাই।
তিনি বলেন, আমাদের জুলাই শহীদ ভাইদের হত্যাকারীদের যেন বিচার করা হয় সে দাবি জানাই। অনতিবিলম্বে যেন জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়। যদি আমরা তা আদায় করতে না পারি, তবে আমাদের শহীদ ভাইদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হতে পারে, আমাদের বিপ্লবী ভাইদেরকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে নামবো না।
জুলাই আন্দোলনে আহত জাফর বলেন, জুলাই বিপ্লবের ৮/৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কুখ্যাত, সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। আজকের এদিন অতি আবেগঘন দিন। আজকে ঘোষণার পর আমি আবেগঘন হয়ে কেঁদে দিয়েছি। আমাকে আপনারা সুস্থ হিসেবে দেখেন। কিন্তু ৫ আগস্টের আগের জাফর আর পরের জাফর এক নই। আমি আমার চোখের অর্ধেক আলো হারিয়ে ফেলেছি। আমার কষ্ট শুধু আমি জানি।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় ক্যাম্পাসের কুখ্যাত ছাত্রলীগ জহির আমাকে হুমকি দিয়েছিল, ক্যাম্পাসে আমি কীভাবে প্রবেশ করব সে দেখে নিবে,আমাকে সে ছিঁড়ে ফেলবে। আজ সে জহির ক্যাম্পাসে নাই, কিন্তু জাফররা ক্যাম্পাসে আছে। আজীবন আমৃত্যু বিপ্লবীরা বাংলাদেশে থাকবে, ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করবে, ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/এফএ