মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তার জামিন শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। নাতনির জামিনের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত পরীর নানা শামসুল হক।
গণমাধ্যমকে শামসুল হক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বসে পরীর মুক্তির জন্য আল্লার কাছে দোয়া করেছি। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। তিনি আমার দোয়া কবুল করেছেন।’
এ সময় তিনি পরীমণি জীবনে চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি করে থাকলে অতীতের সব ভুল শুধরে আগামী দিনগুলোতে সুন্দরভাবে চলবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পরীমণি বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানা শামসুল হকের কাছেই বড় হয়েছেন। তার যে কোনো দুঃসময়ে নানাকে সবসময় পাশে দেখা গেছে। এমনকি আটকের পর প্রিয় নাতনিকে এক নজর দেখতে আদালতেও ছুটে গিয়েছিলেন শামসুল হক। আদালতের বারান্দায় বসে নাতনির সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করেছেন তিনি।
তবে জামিন পেলেও আজ কারামুক্ত হতে পারবেন না পরীমণি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাশিমপুর কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পরীর জামিননামা পৌঁছায়নি। তাই আজ পরীমণির কারামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জনিয়েছেন কারাকর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, 'নিয়ম মোতাবেক কোনো আসামির জামিন হলে সে জামিননামা বিকেল পাঁচটার মধ্যে আমাদের কাছে এলে আমরা কারামুক্ত করি। কিন্তু পরীর জামিননামা এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে পৌঁছায়নি।'
কারাকর্তৃপক্ষের বরাতে জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে পাঁচটার পরও জামিননামা পৌঁছালে কারামুক্ত করার নিয়ম রয়েছে। সেটা বিশেষ কারণে হতে পারে। পরীমণির বেলায় এমন কারণ দেখাতে পারলে আজই তার কারামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পর পরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বনানী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। ৫ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগীকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১০ আগস্ট আবার এই দুজনকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট আবার একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমণিকে।
এনএস