• ঢাকা রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১
logo
দুর্ঘটনার কবলে মেহের আফরোজ শাওন
ডিবি হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ডা. সাবরিনা
বর্তমান সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নাম ডা. সাবরিনা। পেশায় চিকিৎসক হলেও আকর্ষণীয় সাজগোজে ছবি-ভিডিও প্রকাশের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। বিভিন্ন সময় তার নানা ইন্টারভিউ বেশ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তা-ই নয়, শোবিজের নানা অনুষ্ঠানেও ইদানীং তাকে দেখা যায়। এদিকে, সাবেক ডিবি প্রধান হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন বন্দিনী ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. সাবরিনা হুসেন মিষ্টি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের ভবনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দিনী ফাউন্ডেশনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন। ডা. সাবরিনা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। ওই সময় করোনা মোকাবিলায় বিগত সরকারের বেশ কিছু ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠছিল, তখন জনসাধারণের ফোকাস সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিনাকারণে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পুরো কাজটি করেছে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন। অথচ, এই মামলায় আমি কোনো এজহারের মূল আসামি ছিলাম না। আমার সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তাছাড়া যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানেরও কোনো কিছুতে আমি জড়িত ছিলাম না। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আমার মামলার সময়ে সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ তেজগাঁও জোনের ডিসি ছিলেন। আমাকেও তেজগাঁও থানার একটি মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়। পরে তিনি আমাকে আন-অফিসিয়ালি ফোন করে ব্যক্তিগতভাবে সেখানে যেতে বলেন। পরে একাধিকবার ফোন করে আমাকে যেতে বলেন। তবে ওনার কি উদ্দেশ্য ছিল তা জানা নেই। পরে আমাকে যখন তেজগাঁও থানায় ডেকে নেওয়া হলো সেবার তার সঙ্গে দেখা হলে তিনি আমাকে প্রশ্ন করেন, কোন মেডিকেল কলেজ ও কততম বিসিএস? এই দুটো প্রশ্ন করে তিনি আমাকে গ্রেপ্তার করলেন। কিন্তু গণমাধ্যমে নানা কিছু বলে নাটক সাজিয়ে তিনি আমাকে গ্রেপ্তার দেখান। নাটক সাজিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে উল্লেখ করে ডা. সাবরিনা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজাতে ও নাটক পছন্দ করতেন। সেটা সরকারের কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কিংবা তার নিজের কোনো ব্যক্তিগত ইস্যুতে হোক না কেন। আমার ক্ষেত্রেও পুরোটা এমনই হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে তিনি নাটক সাজিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মামলা। মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে একজনও বলেনি আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি বা কোনো কিছুতে সই করেছি। সাক্ষীদের সবার একটাই বক্তব্য, তারা বিভিন্ন মিডিয়ায় আমার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আমি ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইত্যাদি ইত্যাদি। আর তৎকালীন সময়ে মিডিয়াতে সেটাই দেখানো হয়েছে যা সাবেক ডিবি প্রধান হারুন চেয়েছেন। এটা আমার সঙ্গে ভীষণভাবে অন্যায় করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ডা. সাবরিনা ও আরিফুলসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে সাজা পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল আবেদন করে জামিন পান তিনি। ২০২৩ সালের ৫ জুন প্রায় তিন বছর কারাগারে কাটিয়ে জামিনে মুক্তি পান সাবরিনা। আরটিভি/এএ-টি 
সাইফের ওপর হামলার পরের ফুটেজ প্রকাশ, মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বছরের শুরুতেই কোটিপতি ফারহান
নতুন দায়িত্ব পেলেন সোহানা সাবা
‘পুষ্পা ২’ নিয়ে সুখবর
সাইফকে হাসপাতালে নেওয়া সেই অটোচালক যা বললেন
গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলা করেছিল দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে সাইফের বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। ওই সময় তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে হামলাকারী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।  বলিউডের তারকা ও নবাব পরিবারের এই সদস্য গাড়িপ্রেমী। তার গ্যারেজে রয়েছে নানা ব্র্যান্ডের গাড়ি। তবে নায়ক যখন ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত তখন গাড়ি জোটেনি। আটোয় করে তাকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অটো চালক।  ভজন সিং রানা নামে ওই অটোচালক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বান্দ্রার রাস্তায় গভীর রাতে আমি তখন তীব্র গতিতে অটো ছুটিয়েছি। আচমকাই এক গেটের সামনে থেকে নারীর চিৎকার কানে আসে। তিনি আমাকে সাহায্যের জন্য কাকুতিমিনতি করা শুরু করেন। প্রথমে তো আমি বুঝতেই পারিনি যে, সেটা সাইফ আলি খানের বাড়ি। আমি ভেবেছি, চারদিকে যেমন আকছার হেনস্তার ঘটনা ঘটে, তেমনই কিছু হবে। তবে পরে দেখি, গুরুতর জখম অবস্থায় একজন হেঁটে আমার অটোতে উঠে বসলেন। এরপর বলেন, একটা বাচ্চা এবং আরেকজন সঙ্গে ছিলেন। অটোয় উঠেই রক্তামাখা ব্যক্তি প্রথমেই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- কিতনা টাইম লাগেগা? (হাসপাতালে পৌঁছতে কতক্ষণ লাগবে?) আমরা ৮-১০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যাই। ওনার ঘাড়, পিঠ থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। সাদা পাঞ্জাবি রক্তে ভিজে লাল হয়ে গিয়েছিল। ওই পরিস্থিতি দেখে আমি ভাড়া নিইনি। পরে বুঝতে পারি উনি সাইফ আলী খান। তাকে দুঃসময়ে সাহায্য করতে পেরে ভালো লেগেছে। এদিকে সাইফকে অটোতে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ায় রাতারাতি বিখ্যাত বনে গেছেন অটোচালক ভজন। নেটিজেনরা প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তাকে। কেউ কেউ স্রষ্টার দূত বলছেন।  প্রসঙ্গত, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে সাইফের বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়ে। ওই সময় অভিনেতাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর জখম অবস্থায় মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অভিনেতাকে। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাইফের শরীর থেকে ২-৩ ইঞ্চি একটি ধারালো বস্তু বের করেছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিনেতা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন শঙ্কামুক্ত এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। আরটিভি/এএ/এস
থিয়েটার আর্টের নতুন নাটক ‘বলয়’, উদ্বোধনী প্রদর্শনী শুক্রবার
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নাট্যদল থিয়েটার আর্ট ইউনিট মঞ্চে আনছে নতুন নাটক ‘বলয়’। আগামী শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হবে। এটি  দলের  ৪০তম প্রযোজনা। তিনটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে ‌‘বলয়’ এর গল্প। তাদের একজন রাজনৈতিক, অন্যজন ধর্মতাত্ত্বিক এবং অপরজন বিজ্ঞান চিন্তক। তারা তিনজনই এসেছে মনোবিশ্লেষকের কাছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য। তাদের উপলব্ধি একইরকম, প্রত্যেকেই তারা আপন বলয়ে আবদ্ধ। হাঁপিয়ে উঠেছে তারা, আর পেরে উঠছে না । তারা পরিত্রাণ চায়। বলয় মুক্ত জীবন চায়। কাউন্সেলিংয়ের ফাঁকে বের হয়ে আসে তাদের না বলা কথা। উপলব্ধির কথা। বিজ্ঞান ধর্ম রাজনীতির কথা। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন মোকাদ্দেম মোরশেদ।  ‘বলয়’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক বলয় থেকে অন্য বলয়ে আমরা স্থানান্তরিত হয়েছি। বলয় কিন্তু রয়েই গেছে। বলয় থেকে বলয়ে গমন অথবা আটকে পড়া বলয়ে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের স্পন্দন, অনুকূলে বা প্রতিকূলে মুক্তিহীন বলয়বন্দী বহমান এই জীবন- এ উপলব্ধিই  'বলয়' নাটকের চিন্তা সূত্র। নাটকের আলোক পরিকল্পনা করেছেন সুদীপ চক্রবর্তী। আবহ পরিকল্পনায় রয়েছেন সেলিম মাহবুব। প্রযোজনা অধিকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন কামরুজ্জামান মিল্লাত। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন - মাহমুদা হোসেন ভাবনা, নাহিদ সুলতানা লেমন, রানা সিকদার, রেজাউল আমিন সুজন, স্বাধীন শাহ, কামরুজ্জামান মিল্লাত, সেলিম মাহবুব, হাসনাত প্রদীপ, মোকাদ্দেম মোরশেদ, নাওমী, মেহেরুবা,ফারহানা প্রমুখ।
এবার ছাদ ভেঙে আহত অর্জুন কাপুরসহ ৬ জন
নতুন বছরের শুরুতেই বলি পাড়ায় বিপত্তি যেনো কাটছেই না। বলিউড নবাব খ্যাত সাইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার আতঙ্কে আছেন সবাই। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দুর্ঘটনার সম্মুখীন অর্জুন কাপুর। ছাদ ভেঙে গুরুতর আহত অভিনেতা।  জানা গেছে, মুম্বাইয়ের রয়্যাল পামসের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে আসন্ন সিনেমা ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’র শুটিং করছিলেন অর্জুন। সেই সেটেই ছাদের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে। এর জেরে শুধু অর্জুন নন, সহ-অভিনেতা জ্যাকি ভাগনানি এবং পরিচালক মুদাসসির আজিজও আহত হয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। কোরিওগ্রাফার বিজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমার চোখ তখন মনিটরে। আচমকাই দেখি ছাদ ভেঙে পড়ল। ঈশ্বরের কৃপায় গোটা ছাদটা ভেঙে পড়েনি। তাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। তবে অর্জুনসহ অনেকেই মারাত্মক আহত হয়েছেন। প্রযোজনা সংস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করে ভেবে এ ধরনের পুরোনো বাড়ি আমরা প্রায়শই লোকেশন হিসেবে ব্যবহার করি। এদিকে ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের অশোক দুবে জানান, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বাড়িটিতে শুট চলছিল, তাই অতিরিক্ত শব্দের ভাইব্রেশনেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে। অশোক নিজেও কনুই এবং মাথায় আঘাত পেয়েছেন। ডিওপি মনু আনন্দের হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে গেছে। আরেক ক্যামেরা সহকারী মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড চোট পেয়েছেন। তবে সকলে যে প্রাণে বেঁচে গেছেন, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, বিএমসিকে অবহিত করা হয়েছে। আরটিভি/এএ/এস 
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অভিনেতার
ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা আমন জয়সওয়াল যাচ্ছিলেন নতুন কাজের অডিশন দিতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর অডিশন দেওয়া হলো না অভিনেতার। সড়ক দুর্ঘটনায় মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রাণ গেল তার।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন একটি কাজের অডিশন দিতে যাচ্ছিলেন আমন। সেখানে যোগেশ্বরী সড়কে তার বাইকে সজোরে এসে ধাক্কা দেয় এক ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিনেতার। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ‘ধরতিপুত্র নন্দিনী’ ধারাবাহিকের গল্পকার ধীরজ মিশ্র। ‘ধরতিপুত্র নন্দিনী’ ধারাবাহিক জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল আমনকে। মাত্র ২২-এ পেয়েছিলেন তুমুল পরিচিতি। দেখতে ছিলেন সুদর্শন, মেজাজে হাসিখুশি। ফলে অল্প সময়ে অনেকের সঙ্গে হয়েছিল বন্ধুত্ব। আমন জয়সওয়াল মিডিয়াতে পথচলা শুরু করেন মডেল হিসেবে। পরে ধারাবিহকের মাধ্যমে দর্শকের ঘরের ছেলে হন। তরুণ এ অভিনেতার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে তার সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে।  আরটিভি/এএ/এস  
জলে কুমির ডাঙায় রাসেলস ভাইপার, ‘ফেউ’ নিয়ে অভিনেতাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
ফেউ শব্দের আভিধানিক অর্থ শৃগাল বা অন্যভাবে বললে বাঘের পেছন থেকে ডেকে ডেকে বাঘের আগমন জানিয়ে দেয় এমন শৃগাল। অর্থাৎ চালাক প্রকৃতির বলা যায়। অনুসরণকারী হিসেবেও ফেউ–এর ব্যবহার দেখা যায়।  দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের অনেকেই সীমানা পাড়ি দেন। শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। নিম্নবর্ণের (নমঃশূদ্র) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ মাথা গোঁজেন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপিতে। সরকারি আশ্বাসে বাসাও বাঁধেন তারা। তবে সে আশ্বাস ছিল যেন ভোটের রাজনীতির অংশ। ভোট শেষ হতেই শুরু হয় উদ্বাস্তু উচ্ছেদ কার্যক্রম। মরিচঝাঁপিতে খাবার-পানি বন্ধ করে দেওয়া, ঘরে আগুন দেওয়া, নৌকা ডুবানোসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সেসময় ভারতের রাজ্য সরকার মানবিক হয়নি। নিন্দিত হলেও দেয়নি পাত্তা।  অবশেষে ১৯৭৯ সালের ১৬ মে উদ্বাস্তু শূন্য হয় মরিচঝাঁপি। সরকারি হিসেবে, সেখানে মোট নিহতের সংখ্যা মাত্র দুই জন হলেও বিভিন্ন হিসেবে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। গণহত্যার ওই ইতিহাস দৃশ্যমাধ্যমে চিত্রায়িত করেছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান। বানিয়েছেন ‘ফেউ’ নামের একটি ওয়েব সিরিজ। আগামী ২৩ জানুয়ারি দেশের একটি ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পাচ্ছে।  নতুন এই কাজ নিয়ে নির্মাতা বলেন, পুরো গল্প জুড়েই ফেউ শব্দটার উপস্থিতি আছে। গল্পের রাজনৈতিন বর্ণনাতেও ফেউ প্রাসঙ্গিক। মানুষের স্বভাবজাত আতঙ্ক, ভয় যখন দৈনন্দিন হয়ে যায় তখনও সেটা ফেউ শব্দ দিয়ে বোঝান সম্ভব। এই আতঙ্কের মধ্যে বসবাস এবং উতড়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে ‘ফেউ’ সিরিজ। তাই সিরিজের নামকরণ সবচেয়ে ফেউ যৌক্তিক মনে হয়েছে।  নতুন এই সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তানভীর অপূর্ব, হোসেন জীবন, তাহমিনা অথৈ, রিজভি রিজু, ফাদার জোয়া, বাবলু বোস, এ কে আজাদ সেতু। সিরিজে কাজী চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। তিনি জানান, খুলনা অঞ্চলে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিন্তু তিনি কখনও সুন্দরবন দেখেননি। এবারই প্রথম তিনি সুন্দরবনের একদম ভেতরে গিয়ে শুটিং করেছেন।  অভিনেতা বলেন, আামার এলাকা জন্য ভাষার ব্যবহারেও আমার খুব আরাম লেগেছে। কিছু বিষয় কানে লেগে আছে। আমাকে দেখে অনেকে বলেছে, ’উরে বাবারে আপনারে এতদিন পরে দেখলাম, সেই ছোট বেলায় দিখিছি। টেলিভিশনে দেখতি যাতাম ৫ মাইল দূরি। উরি আল্লাহ এ কি দেখতিছি, আপনারে একটু ছুঁয়ে দেখি।’ সাধারণ ভাষায় হৃদয়ের কথা বলে দিল, খুব ভালো লেগেছে আমার। চরিত্র নিয়ে তারিক আনাম বলেন, কাজী চরিত্রটি এই এলাকায় প্রভাবশালী মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে সে খুব বেশিভাবে জড়িত। সব জায়গায় তার কর্তৃত্ব আছে কিন্তু সেটা সে বোঝাতে চায় না। এর মধ্য দিয়ে ওই এলাকার রাজনীতি বেশ ভালোভাবে উঠে এসেছে বলে আমার মনে হয়। ওয়েব সিরিজটিতে চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় করেছেন সুনীল চরিত্রে। সিরিজে তিনি একজন ফটোগ্রাফার। ফেউ–তে ইতিাসের একটা ছায়া রয়েছে, প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেই ঘটনাগুলোর অনেক তথ্য সুনীল তার ক্যামেরায় ধরে রাখে বলে জানান চঞ্চল চৌধুরী।  চঞ্চল চৌধুরী তার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা যখন শুটিং করেছি তখন ছিল প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। মাস খানেক সুন্দরবনে শুটিং হয়েছে, যার মধ্যে আমি ছিলাম ২০ দিনের বেশি। রাতে যখন লঞ্চে ঘুমাতাম, খুব ঠাণ্ডা লাগত। আমি শিতের জামা–কাপড় পরেই ঘুমাতাম। তবে ঠাণ্ডার চেয়েও ভয়ের বিষয় ছিল কুমির। আমাদের লঞ্চ যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখানে ছিল কুমিরটা। সকালে জানালা দিয়ে মুখ বের করলেই কুমিরসহ বিভিন্ন পশু–পাখি দেখা যেত। আমরা লঞ্চ থেকে শুটিং স্পটে যেতাম ছোট ছোট ট্রলারে। রাতেও শুটিং করতে হতো। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল। এদিকে সুন্দরবনে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান বলেন, ওখানকার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। সবসময় আতংকের মধ্যে থাকতে হয়েছে। টিমের সকলের প্রচেষ্টা ও সততা একসঙ্গে না হলে এটা সম্ভব ছিল না। আমরা রাতে লঞ্চে থাকতাম। ৪৫ দিনের মতো ছিলাম। থাকার অন্য কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মাঝনদীতে লঞ্চ বাঁধা থাকত। অনেক রাতে শুট শেষে ফেরার পর খাবার খেয়ে হয়তো চা খাচ্ছি তখন টের পেতাম কুমির একটি কুকুরকে টান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক বড়সড় কুমিরও দেখেছি। একটি অ্যাকশন দৃশ্য আছে যেখানে আমরা প্রথম রাসেলস ভাইপার আবিষ্কার করি। শ্বাসমূলের ওপর দিয়ে খালি পায়ে দৌড়ানো, কাঁদা—সুন্দরবনের এক অদ্ভুত ফিলিং।  আরটিভি/এএ/এআর         
হানিমুন শেষেই রোহিঙ্গা শিবিরে তাহসান
দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান। শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাহসানের বিয়ের আয়োজনের ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই নেটিজেনরা নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন। তাহসানের স্ত্রীর নাম রোজা আহমেদ। তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর সেখানে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামে একটি রূপসজ্জা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বিয়ের করেই ৭ জানুয়ারি হানিমুনের উদ্দেশে মালদ্বীপে যান তাহসান ও রোজা। সেখান থেকে ফিরেই রোহিঙ্গা শিবিরে গেলেন তাহসান। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তাহসান খান তার ফেসবুকে বেশ কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের নানা মুহূর্ত রয়েছে।  তাহসান তার ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের একাধিক ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, গতকাল আমি কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ রকম অনুপ্রাণিত হয়েছি। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপ থেকে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে, নতুন করে তাদের জীবনের পথচলা শুরু করেছে, এতে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন মানবিক সংস্থাও। শরণার্থীরা বারবার ভয়াবহ কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে, তাদের ধৈর্য ও সহনশীলতা ইউএনএইচসিআরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমাকে সব সময় অনুপ্রাণিত করে। তাহসান খান বলেন, গতকাল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেছি। কয়েক সপ্তাহ আগে সেখানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শত শত আশ্রয়শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনাতীত। জীবন বাঁচানোর কাজে নিয়োজিত অগ্নিনির্বাপণকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে উদ্ধারকাজের গল্প শুনে ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি। আরটিভি/এএ   
দাবানলে পুড়ে যাওয়া অস্কার নিয়ে জানা গেল আসল তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের আগুনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত তারকারাও। প্যারিস হিলটন, বেন অ্যাফ্লেক, জেনিফার গ্রে, ক্যারি এলওয়েসসহ বেশ কয়েকজন তারকার বাসভবন পুড়ে গেছে। ভয়াল এ আগুনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দাবানলে প্রায় ৩৭ হাজার ৮০০ একর ভূমি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। এদিকে, দাবানল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পুড়ে যাওয়া একটি অস্কার ট্রফি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ছবিটি দেশ-বিদেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে তৈরি। অনুসন্ধানে অন্তত ১২ জানুয়ারি থেকে ছবিটির অস্তিত্ব ইন্টারনেটে দেখা যায়। বাংলাদেশ সময় সেদিন রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে ‘pics’ নামক একটি সাবরেডিটে ছবিটি ‘Symbolism (প্রতীকী)’ ক্যাপশনে শেয়ার করা হয়।  তবে, ওই সাবরেডিটের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ছবিটি পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলা হয়। সাবরেডিটের মডারেটররা ছবিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি বলে সন্দেহ করেন। তাদের নিয়ম অনুযায়ী, স্ক্রিনশট বা এআই-জেনারেটেড কোনো ছবি পোস্ট করা নিষিদ্ধ। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, ছবিটি ১২ জানুয়ারি ‘AI Revolution – MidJourney AI, DALL-E 2, Stable Diffusion’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। তবে, বর্তমানে গ্রুপটিতে ছবিটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ওই সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ১৩ জানুয়ারি সকালে ‘Ruston Banal’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টটির সাথে যুক্ত স্ক্রিনশটে দেখা যায়, Grzech Morawski নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে ‘AI Revolution’ গ্রুপটিতে আলোচিত ছবিটি শেয়ার করেছিলেন। রুস্টনের দাবি অনুযায়ী, ছবিটি স্টেবল ডিফিউশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এবং এটি গ্রজেচ মোরাভস্কি দ্বারা নির্মিত। রুস্টনের পোস্টের সূত্র ধরে ‘AI Revolution’ নামের ওই ফেসবুক গ্রুপে Grzech Morawski নামের অনুসন্ধান চালিয়ে, বর্তমানে এই নামধারী কোনো ফেসবুক প্রোফাইল গ্রুপটিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, ভিন্ন এক ব্যক্তির পোস্টে একই নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল ট্যাগ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে, বর্তমানে প্রোফাইলটির নাম Mora Grzegorz দেখা যায়। অর্থাৎ, ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর Grzech Morawski নামের সেই প্রোফাইলের নাম পরিবর্তন করে এখন Mora Grzegorz রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ‘AI Revolution’ ফেসবুক গ্রুপে নতুন নাম Mora Grzegorz এর সূত্র ধরে অনুসন্ধানে, ওই প্রোফাইল থেকে Grzech Morawski নামের জলছাপযুক্ত একাধিক এআই-জেনারেটেড ছবি (১,২) পোস্টের প্রমাণ পাওয়া যায়। ছবিটি নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য রিউমর স্ক্যানার টিম প্রোফাইলটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, সংশ্লিষ্ট প্রোফাইল থেকে রিউমর স্ক্যানারের এক সদস্যকে ব্লক করা হয়। অন্যদিকে, ১৩ জানুয়ারি থেকে পুড়ে যাওয়া অস্কারটি আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট রেডফোর্ডের দাবিতে প্রচার হতে থাকে। তবে, আমেরিকান ম্যাগাজিন এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিকে রেডফোর্ডের একজন প্রতিনিধি জানান, ছবিটি ভুয়া। তিনি বলেন, রেডফোর্ড বর্তমানে সান্তা ফে (নিউ মেক্সিকো)-তে বসবাস করছেন এবং ছবির অস্কারটি তার নয়। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা পলিটিফ্যাক্ট-কে গেটরিয়েল ল্যাবস-এর মুখপাত্র ইমানুয়েল সালিবা নিশ্চিত করেছেন যে, ছবিটি বাস্তব নয়। তিনি বলেন, ছবিটি এআই-নির্মিত ছবি ও ডিজিটাল আর্টের একটি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। তবে, পরে ছবিটি ওই গ্রুপ থেকে মুছে ফেলা হয়। ইমানুয়েল সালিবার এই বক্তব্যের সাথে রিউমর স্ক্যানার-এর অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য হুবহু মিলে যায়। সুতরাং, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ছবিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে পুড়ে যাওয়া অস্কারের বাস্তব ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। আরটিভি/এএ/এআর