মিথিলা আত্মহত্যা, প্ররোচনাকারীরা ১০ দিনেও ধরা পড়েনি

শানে আলম সজল, চট্টগ্রাম

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ , ০৭:০৯ পিএম


মিথিলা আত্মহত্যা, প্ররোচনাকারীরা ১০ দিনেও ধরা পড়েনি

দেশীয় সিনেমার নবাগত আইটেমগার্ল জ্যাকুলিন মিথিলার (জয়া শীল) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের ১০ দিনেও ধরতে পারেনি পুলিশ। তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে স্বামী, শাশুড়ি মামাসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা স্বপন শীল।

বিজ্ঞাপন

গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বন্দর থানায় বাবার বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন মিথিলা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জ্যাকুলিন মিথিলাকে (জয়া শীল) আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের ধরতে মরিয়া পুলিশ। এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরতে পতেঙ্গা ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।  

বিজ্ঞাপন

শিগগিরই ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি বাদল বিশ্বাস ওরফে বিদ্যালালকে ধরতে অভিযান চালাবে পুলিশ।

এসআই মহিন বলেন, 'মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা ওই দিনই আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে পারেনি বাদী পক্ষ । তাই খুঁজে বের করতে সময় লাগছে।  

তিনি আরো বলেন, রোববার মামলা বাদী থানায় এসেছিলেন কয়েকজনের নাম ঠিকানা দেয়ার জন্য। ৪ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

এ ব্যাপারে স্বপন শীল আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গেলো ২০ জানুয়ারি আমার মেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বাসায় এসে জানায়, ৩ নভেম্বর তার সঙ্গে ফটিকছড়ির ধুরম গ্রামের উৎপল রায়ের কোর্টম্যারেজ হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর মেয়ের জামাই উৎপল জয়াকে এড়িয়ে চলছিল। সাত বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিলো।

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে জয়া শীল ঢাকা থেকে আসার ১৪ দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যা করেন বলে জানান তিনি।

মিথিলার পারিবার সূত্রে জানা গেছে, উৎপল রায়ের বিয়ের সময় হাটহাজারীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় কৃষি বিভাগে চাকরি করছেন উৎপল। বিয়ের পর তিনি হাটহাজারীর বাসা পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে যান। সম্প্রতি হাটহাজারীতে উৎপলের বাসায় যান মিথিলা। সে সময় পরিবারের কাউকে না পেয়ে তিনি বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।

স্বপন শীল বলেন, ঘটনার দিন ঘুম থেকে ওঠে নাশতা করে চা খেয়েছিল জয়া (মিথিলা)। রুমের দরজা বন্ধ দেখে খোঁজ নিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।

মৃত্যুর আগে সে স্বামীসহ কয়েকজনের নাম (শ্বশুরবাড়ির) চিরকুটে লিখে গেছে। তাদের সবাইকে আমি আসামি করেছি।

পুলিশ জানায়, মিথিলার ঝুলন্তলাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে লেখা ছিলো আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর তার ভালোবাসা কমে গেছে। ফেসবুকে মিথিলা আত্মহত্যা করার ইঙ্গিত দিয়ে পোস্ট দিয়ে আসছিলেন বলেও জানায় পুলিশ।

গেলো ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, কালকে আমি আত্মহত্যা করবো। কেউ আমাকে প্রত্যাখান করে নাই। আমিও কাউকে প্রত্যাখান করি নাই। কিন্তু আমি আত্মহত্যা করব। এছাড়া, ৩১ জানুয়ারি সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে লিখেন, ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে পা বাড়াচ্ছি।

এইচএম/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission