‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান অংশ নিয়েছেন চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে এক ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আর রাহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। সেই সুযোগ আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অসম্ভব সুন্দর একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিয়েছেন। বেশ বড়। সেটি এখনও আমার কাছে আছে এবং নিয়মিত ব্যবহার করি। এটা আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি গান করেছেন এই সংগীত পরিচালক। বললেন সে বিষয়েও।
এ আর রাহমান বলেন, গান দুটি তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব এনজয় করেছি পুরো ব্যাপারটা।
মন্তব্য করুন
আজ ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর)। রাতে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গাইবেন তিনি। এ উপলক্ষে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেছেন আতিফ।
কনসার্টের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন জানায়, আজ রাত আটটার পর মঞ্চে উঠবেন আতিফ। এর আগেও বেশ কয়েকবার ঢাকায় এসেছেন তিনি।
কনসার্টে আতিফ ছাড়াও আরও পারফর্ম করবেন পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল। এ ছাড়া এই কনসার্টে বিশেষ চমক থাকবে, যা এখনই প্রকাশ করছে না আয়োজক কমিটি।
বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে কনসার্টটি। দুপুর ১টায় দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এইচএসকে/এস
প্রতি কনসার্টে কত টাকা পারিশ্রমিক নেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। বিশ্বজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অগণিত দর্শক। বাংলাদেশেও নেহাত কম নয় গায়কের ভক্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়তই কনসার্টে গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শক মাতান তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে পারফর্ম করেন আতিফ।
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গান গাইবেন তিনি। এতে প্রথম সারির জন্য টিকিট মূল্য ৪৫০০ টাকা এবং আড়াই হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ সারির টিকিট। তবে প্রতি কনসার্টে আতিফ কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই তার ভক্তদের।
বলিউড সাদি’স ডটকম প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বাইরে প্রতি কনসার্টের জন্য প্রায় ২ কোটি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন আতিফ। তবে পাকিস্তানে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন এই গায়ক।
বিভিন্ন ক্যাফেতে গিয়ে গান শুনিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আতিফের। সেখান থেকে যা আয় হতো তাই দিয়ে চলত। এরপর ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কনসার্ট থেকে ডাক পেতে শুরু করেন আতিফ।
ধারাবাহিক থেকেও গানের জন্য ডাক পান তিনি। সিরিয়ালে গান গেয়ে ভাগ্য ফেরে তার। এক একটি গানের জন্য ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা নিতে শুরু করেন এই গায়ক। ধারাবাহিকের পাশাপাশি সিনেমাতেও বাড়তে থাকে আতিফের চাহিদা।
একটা সময় আসে যখন ভক্তদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে যান আতিফ। তখন দরও বাড়তে থাকে গায়কের। আতিফের স্ট্রাগলের দিন খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের সব থেকে ধনী গায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
আরটিভি/এইচএসকে/এস
মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যা বললেন এ আর রহমান
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।
এদিকে বিচ্ছেদ ও পরকীয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় তোলপার শুরু হয়েছে। এবার মানসিক স্বাস্থ্যে সুরের ভূমিকা নিয়ে কথা বললেন রহমান। সঙ্গীত বেশ কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের কাজ করতে পারে। তার কথায়, আমাদের অনেকেরই আজকাল মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক থাকে না। অবসাদ গ্রাস করে প্রায়শই। আমাদের সকলের মধ্যেই শূন্যতা কাজ করে। কখনও গল্প শুনে, কখনও দর্শন পড়ে অথবা কখনও ওষুধ খেয়ে এই শূন্যতা দূর করা যায়। হিংসা বা যৌনতার মতো শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটানোই সব নয়। জীবনের পরিধি এর থেকেও অনেক বড়।
এই প্রসঙ্গে রহমান জানান, সঙ্গীত মনে শান্তি জোগাতে সক্ষম। এর আগেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছিলেন এআর রহমান। একটা সময় নাকি আত্মহত্যার চিন্তাও মাথায় এসেছিল এআর রহমানের। শিল্পীর পাশে ছিলেন তার প্রয়াত মা। তার সঙ্গে কথা বলেই কোনো রকমে এই ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন, পুরনো এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন রহমান।
সেই সাক্ষাৎকারে এ আর রহমান বলেছিলেন, অন্যের জন্য বাঁচলে, আত্মহত্যার মতো ভাবনা মাথায় আসে না। আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া সেরা পরামর্শ এটাই। অন্যের জন্য বাঁচার অর্থ, আপনি স্বার্থপর নন। তার মানে, জীবনেরও অর্থ রয়েছে। এই পরামর্শকে আমি খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলাম।
আরটিভি /এএ/এআর
বিচ্ছেদের পর ফের এক হচ্ছেন রহমান-সায়রা!
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।
রহমান-সায়রার বিচ্ছেদের কথা জেনে কেউ কেউ দুঃখ প্রকাশ করে তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন যেন, দাম্পত্য যেন মিটে যায়। তবে এ বিষয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন আইনজীবী বন্দনা শাহ।
ভারতের ডিভোর্স আইনজীবী হিসেবে পরিচিত বন্দনা। তিনিই রহমান এবং সায়রার বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাটি দেখছেন। কয়েকদিন আগে ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে রহমানের ডিভোর্স নিয়ে কথা বলেন এ আইনজীবী। এ সময় সায়রা-রহমানের পুনর্মিলনের আশার বাণী শোনান বন্দনা!
বন্দনা শাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তো কখনো বলিনি তাদের ভাঙা বিয়ে জোড়া লাগবে না। আমি নিজে ভীষণ ইতিবাচক একজন মানুষ। আর সবসময়ে ভালোবাসা, রোমান্স নিয়ে কথা বলি। সায়রা-রহমানের যৌথ বিবৃতিতেই তো সবটা পরিষ্কার। যেখানে তাদের কষ্ট এবং বিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য তাদের, তাই অনেক চিন্তা-ভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কিন্তু আমি তো এরমাঝে কখনো বলিনি যে এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর পুনর্মিলন সম্ভব নয়।
এ আর রহমান সন্তানদের দায়িত্ব কে নেবেন- এ প্রসঙ্গেও বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছে। এমন কৌতূহলের মাঝেই আইনজীবী বন্দনা শাহ জানালেন, সায়রা এবং রহমান কেউ এখনো সেটা ঠিক করেননি। সন্তানরা সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে মা না বাবার কাছে থাকবে।
এ আর রহমানের সম্পত্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনো আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য’
বন্দনা শাহ আরও জানান, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এ আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
আরটিভি /এএ
২৪'র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের জন্য বিনা পারিশ্রমিকে গাইবেন রাহাত ফতেহ আলী
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন অসংখ্যজন। তাদের পরিবারের সহযোগিতা, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য আয়োজিত হচ্ছে চ্যারিটি কনসার্ট। আয়োজক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্পিরিটস অব জুলাই’। নাম রাখা হয়েছে ‘ইকোস অব রেভোলিউশন’। যেখানে গাইতে আসবেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।
আগামী ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে। কনসার্টে সংগীতজ্ঞ রাহাত ফতেহ আলী খানসহ কয়েকটি জনপ্রিয় দেশীয় ব্যান্ড গান পরিবেশন করবেন। আয়োজকরা জানান, বিনা পারিশ্রমিকে এটিতে গাইবেন রাহাত ফতেহ আলী খান।
কনসার্টের বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্পিরিটস অব জুলাই। এতে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন স্পিরিটস অব জুলাই-এর সদস্য ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ রিজভী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাদেকুর রহমান সানি, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাফর আলী এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওয়াহিদ-উজ-জামান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ আমরা আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার মাধ্যমে তাদের পাশে থাকতে চাই।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় জুলাই গণহত্যায় শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।’ গত ১২ নভেম্বর স্পিরিটস অব জুলাই প্ল্যাটফরমের সঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
কনসার্টের মূল আকর্ষণ রাহাত ফতেহ আলী খান বিনা পারিশ্রমিকে গান পরিবেশন করবেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তার সঙ্গে স্পিরিটস অব জুলাই-এর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তিতে আমাদের কনসার্টে তিনি বিনা পারিশ্রমিকে পারফর্ম করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন, অর্থাৎ তার পারিশ্রমিকও আহত-নিহতদের পরিবারকে প্রদান করা হবে।
এ ছাড়া কনসার্টে স্বল্প পারিশ্রমিকে দেশীয় সংগীত ব্যান্ড আর্টসেল, চিরকুট, অ্যাশেজ, আফটারম্যাথ ও র্যাপ সংগীতশিল্পী সেজান এবং হান্নানও গান পরিবেশন করবেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। সংগীত ছাড়াও কনসার্ট ইভেন্টে জুলাই বিপ্লবসংক্রান্ত গ্রাফিতি প্রদর্শনী, মঞ্চনাটক এবং মুগ্ধ ওয়াটার জোনসহ আরও বিভিন্ন কর্নার থাকবে বলে এ সময় উল্লেখ করা হয়।
আরটিভি /এএ/এআর
সায়রা বানুর সঙ্গে এ আর রহমানের যে চুক্তি হয়েছিল
সংসার ভাঙল উপমহাদেশের বিখ্যাত সুরকার ও সংগীতশিল্পী এ আর রহমানের। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে ২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
বিচ্ছেদ নিয়ে এ আর রহমান তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমরা গ্র্যান্ড ত্রিশে পৌঁছানোর কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু মনে হয় সবকিছুরই একটা অজানা সমাপ্তি আছে। এমনকি ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে। আমরা ছিন্নভিন্ন হয়েও অর্থ খুঁজি, যদিও এই টুকরোগুলো আর আগের মতো হবে না। আমাদের বন্ধুদের বলি, যখন আমরা এই হৃদয়বিদারক অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনারা উদারতার সঙ্গে আমাদের গোপনীয়তাকে সম্মান করেছেন বলে ধন্যবাদ।
তাদের বিচ্ছেদেরর সিদ্ধান্ত বলিউড ও সংগীত জগতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে। আলোচনা চলছে, হঠাৎই কেন বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন এই দম্পতি। বিচ্ছেদের বিষয়টির পর সামনে আসছে সায়রা বানুর সঙ্গে এ আর রাহমানের চুক্তির বিষয়টি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এ আর রাহমান। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানিয়েছিলেন, সায়রা বানুর সঙ্গে বিয়েটা হয়েছিল পারিবারিক ভাবেই হয়েছয়ে এ আর রহমান কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তার মা সায়রা বানুকে পছন্দ করেন। আর এ আর রহমানের বিশ্বাস ছিল তার মায়ের প্রতি। একাধিক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর প্রশংসাও করেছেন এই গায়ক।
এমন এক সাক্ষাৎকারে এ আর রাহমান বলেছিলেন, তিনি সঙ্গীর খোঁজ করার জন্য সময় পাননি, তাই মাকে পাত্রী খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।তিনি এমন কাউকে চেয়েছিলেন যিনি তার সংগীত জীবনে সমর্থন দেবেন, শিক্ষিত, সুন্দর এবং বিনয়ী হবেন।
স্ত্রী সায়রা বানু সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এ আর রাহমান বলেছিলেন, তার ব্যক্তিত্বের দুটি বিষয় আছে। এরমধ্যে একটি হচ্ছে সায়রা যখন শান্ত থাকেন, তখন তিনি পুরোপুরি শান্ত–স্থির থাকেন। অন্যটি হচ্ছে তিনি রেগে গেলে আর কিছুই তার মাথায় থাকে না। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের শুরুতে সায়রা প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়তেন। এর কারণ ছিল, শপিংয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ কাজও তিনি করতে পারতেন না। এর কারণ ছিল তারকা স্বামী।
এ আর রাহমান অবশ্য এ ব্যাপারে তাকে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তার ব্যস্ততা এবং তারকা জীবনের কারণে জীবন স্বাভাবিকের থেকে আলাদা হবে। আর এই বিষয়টা তারা দুজন স্বাভাবিকভাবেই সামলাবেন। আর বিয়ের আগে বিষয়টা সায়রা বানুকে এই শর্ত জানানো হলে তিনি সেটা মেনেও নেন। এ আর রাহমান জানান এটা তাদের দুজনের বিয়ের আগের একান্ত একটা চুক্তি ছিল যেটা মানেই তারা জীবন শুরু করেন।
এ আর রাহমান বলেছিলেন, নতুন একজনের পক্ষে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তার বিয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এ আর রাহমান উল্লেখ করেন, তার ছিল যৌথ পরিবার। এখানে অনেক কিছু মানিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে, তাদের প্রথম সন্তান জন্মের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারা সব মানিয়ে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে সম্মান করে একসঙ্গে সংসার করছেন।
এদিকে এ আর রহমানের সম্পত্তি প্রসঙ্গে আইনজীবী বন্দনা শাহ জানান, বিচ্ছেদের পর স্বামীর সম্পত্তির অর্ধেকাংশ যে স্ত্রী পাবেন খোরপোশ হিসেবে, সেটা ভারতে এক প্রচলিত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়। এই ধরণের কোনো আইনও নেই। তাই রহমান-সায়রার ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য’
বন্দনা শাহ আরও জানান, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই স্ত্রীরা সম্পত্তির অর্ধেক মালিকানা পান না। এ আইনি প্রক্রিয়া চলতে একটু সময় লাগে। তাই রায় দানের আগে আদালত তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই করে। যদিও এ আর রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এক্ষেত্রে খোরপোশের প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
আরটিভি /এএ
ঢাকার রাস্তায় জুমার নামাজ পড়লেন আতিফ আসলাম
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অসংখ্য দর্শক। বাংলাদেশেও নেহাত কম নয় গায়কের ভক্তের সংখ্যা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে গান গেয়ে দর্শক মাতান তিনি।
বাংলাদেশে এসে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে উঠেছিলেন আতিফ আসলাম। এরপর শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করতে হোটেল থেকে বের হন তিনি। রাস্তার পাশেই মাস্ক পরা অবস্থা তার নামাজ আদায়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় বিছানো জায়নামাজে মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরে মুসল্লিদের সঙ্গে বসে আছেন আতিফ আসলাম। তার অদূরে দুজন নিরাপত্তাকর্মী ঠায় দাঁড়িয়ে। শান্ত পরিবেশ। সাধারণ মুসল্লিরা কেউই ধারণাই করতে পারেননি যে, তাদের গা ঘেঁষে বসে আছেন তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী আতিফ আসলাম।
‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টের আয়োজক ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনের পক্ষ থেকেও ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানায়, কনসার্টের দিন দুপুরে হোটেল থেকে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বের হয়েছিলেন আতিফ আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, খিলক্ষেতের আশেপাশের এলাকার কোনো একটি মসজিদে নামাজ পড়েছেন তিনি।
এদিকে পাকিস্তানি এই গায়কের এমন সাদামাটা আচরণের কারণে প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।
শুক্রবার ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে রাত ৯টায় মঞ্চে ওঠেন আতিফ আসলাম। পরে টানা তিন ঘণ্টা ননস্টপ পারফরম্যান্সে দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলেন এই গায়ক। যদিও আয়োজকদের সঙ্গে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পারফর্ম করার চুক্তি হয়েছিল আতিফ আসলামের। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে মঞ্চে বেশি সময় গান করেন এই গায়ক।
বাংলাদেশকে আতিফ আসলাম কতটা পছন্দ করেন, সেটা অনেকবার নিজের মন্তব্যেই প্রকাশ করেছেন। এবারও স্টেজে উঠেই তিনি জানালেন, ‘বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় বাড়ি।’
আরটিভি/এইচএসকে