‘শেখ হাসিনার দেওয়া পারফিউম নিয়মিত গায়ে মাখি’
অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান অংশ নিয়েছেন চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানে এক ফাঁকে কথা বলেছেন বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে নানা প্রসঙ্গ।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আর রাহমান বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি। সেই সুযোগ আমার হয়েছে। তিনি আমাকে অসম্ভব সুন্দর একটি পারফিউমের বোতল উপহার দিয়েছেন। বেশ বড়। সেটি এখনও আমার কাছে আছে এবং নিয়মিত ব্যবহার করি। এটা আমার জন্য অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে দুটি গান করেছেন এই সংগীত পরিচালক। বললেন সে বিষয়েও।
এ আর রাহমান বলেন, গান দুটি তৈরি করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব এনজয় করেছি পুরো ব্যাপারটা।
মন্তব্য করুন
অবশেষে মনি কিশোরের দাফন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত আসলো
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিটিভিতে গেয়েছিলেন ‘কী ছিলে আমার’। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর শিল্পীকে এনে দিয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
সংগীত জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানান বড় ভাই অশোক কুমার।
এদিকে মনি কিশোরের মরদেহ তিনদিন ধরে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। দাফন নাকি সৎকার - এমন প্রশ্নে নিয়েও ছিল জটিলতা। মেয়ে দেশে আসা না আসা নিয়েও কথা উঠছিল। সবমিলিয়ে শিল্পীর দাফন বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মনি কিশোরের দাফন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গীতিকার মিল্টন খন্দকার।
দাফন প্রসঙ্গে এ গীতিকার বলেন, মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরী সরকারিভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থানা কর্তৃপক্ষ কাগজটি পেয়ে যাবে। পেতে পেতে হয়তো রাত হয়ে যাবে। রাতে তো আর দাফন সম্ভব নয়। আশা করছি, আগামীকাল জোহরবাদ তার নামাজে জানাযা ও দাফন হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল সকালে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে চাই। যাতে তার জানাজা ও দাফনে সবাই উপস্থিত থাকতে পারেন।
কোথায় দাফন হবে শিল্পীর? এমন প্রশ্নে জবাবে মিল্টন খন্দকার বলেন, ইতোপূর্বে মনি কিশোরের লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের কথা প্রচার হচ্ছিল। এটি আসলে ভুল তথ্য ছিল। মনি কিশোরের ভাই এটি ভুল করে বলেছিলেন। এখন পারিবারিকভাবে দাফনের চেষ্টা চলছে। দাফনের জন্য প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের কথা ভাবা হয়েছিল। সেখানে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। রামপুরা অথবা বনশ্রীর কোন একটি গোরস্থানে এখন দাফন করতে চাই। সরকারি কাগজটি হাতে পেলেই দাফনের স্থানটি সবাইকে জানিয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন ,বলা হয়েছিল, মনি কিশোরের মেয়ে দেশে এলেই দাফন হবে। আমরার আশা করেছিলাম মেয়ে দেশে আসবেন। কিন্তু তার পরীক্ষা চলার কারণে তিনি আসতে পারবেন না। এ কারণে সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসে লাশ দাফনের জন্য লিখিত দিয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস সেটি ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিটা এখন যাবে থানায়। এরপর হবে লাশ দাফন।
এর আগে, মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর রামপুরা থানার ওসি সংবাদমাধ্যমকে বলে ছিলেন, নিন্তি চৌধুরী আমাদের কাছে একটা তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়েছি, ওখানকার দূতাবাস অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেন পাঠান। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, তার বাবাকে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করতে। অন্যদিকে পরিবার, ভাই–বোনেরা চেয়েছিলেন হিন্দুধর্মমতে মরদেহের আনুষ্ঠানিকতা সারতে। দুই পক্ষ থেকে দুই ধরনের বক্তব্যের কারণে একটা বিতর্ক ও জটিলতা তৈরি হতে পারে। এই বিতর্ক ও জটিলতার অবসানে আমরা শিল্পী মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে উপস্থিত মরদেহ গ্রহণ না হলে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছি। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
প্রসঙ্গত, ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের, যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা।
আরটিভি/এএ
স্টেডিয়ামের অনুমতি মেলেনি, টিকিট শেষ কনসার্টের
চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে পারফর্ম করে গেছেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মঞ্চ মাতাতে ঢাকায় আসছেন এই গায়ক। আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নেবেন তিনি।
সে মোতাবেক চলছে কনসার্টের প্রচারণাও। কিন্তু এখনও অনুমতি মেলেনি স্টেডিয়ামের। অথচ এদিন হতে যাওয়া গায়কের কনসার্টের যাবতীয় টিকিট বিক্রিও হয়ে গেছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনস তাদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানেয়েছেন।
অন্যদিকে অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন আর্মি স্টেডিয়ামের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আবেদনের পর দাপ্তরিক যে কাজ চলার কথা, তা চলছে। এখনও আর্মি স্টেডিয়ামের অনুমতি তাদের দেওয়া হয়নি।
‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’কনসার্টে আতিফ ছাড়াও পারফর্ম করার কথা রয়েছে আরেক পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল।
তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৯ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে কনসার্টটি। দুপুর ১টায় দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এইচএসকে/এসএ
অবশেষে আতিফ আসলামের কনসার্টের অনুমতি মিলল স্টেডিয়ামে
আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম। সম্প্রতি নিরাপত্তা শঙ্কায় বেশ কিছু আউটডোর কনসার্ট বাতিল হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আতিফের কনসার্ট নিয়েও শঙ্কা ছিল ভক্তদের মনে, অবশেষে স্টেডিয়ামে কনসার্টের অনুমতি পেয়েছে আযোজক প্রতিষ্ঠান ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশনকে অনুমতি দিয়েছে আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। কনসার্টের ৩৭ দিন আগেই অনুমতি পেলো প্রতিষ্ঠানটি।
কনসার্টে আতিফ ছাড়াও আরও পারফর্ম করবেন পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল। এ ছাড়া এই কনসার্টে বিশেষ চমক থাকবে, যা এখনই প্রকাশ করছে না আয়োজক কমিটি।
গত ২৩ অক্টোবর অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে আর্মি স্টেডিয়ামের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করেছে। আবেদনের পর দাপ্তরিক যে কাজ চলার কথা, তা চলছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৯ নভেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে কনসার্টটি। দুপুর ১টায় দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এইচএসকে
নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে দাফন সম্পন্ন হলো মনি কিশোরের
নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। প্রায় পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে বিটিভিতে গেয়েছিলেন ‘কী ছিলে আমার’। যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আর শিল্পীকে এনে দিয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। এরপর মনি কিশোরের বড় ভাই অশোক কুমার মণ্ডল জানান, শিল্পীর মরদেহ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে। কারণ, শিল্পী মনি কিশোর বেঁচে থাকতেই তার মেয়ে নিন্তি চৌধুরীকে বাবার মরদেহ দাফনের কথাই নাকি বলে গিয়েছিলেন।
তিন দিন মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। দাফন নাকি সৎকার - এমন প্রশ্নে নিয়েও ছিল জটিলতা। জানানো হয়েছিল তার একমাত্র মেয়ে দেশে আসার পরই তাকে দাফন বা সৎকার করা হবে। সব মিলিয়ে শিল্পীর দাফন বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মনি কিশোরের লাশ দাফন করা হয়েছে।
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা শেষে দক্ষিণ বনশ্রীর সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন শিল্পীর বোন জামাই প্রদীপ কুমার মিস্ত্রী।
মনি কিশোরর জানাজা এবং দাফনের সময় সংগীত অঙ্গনের তেমন কাউকে চোখে পড়েনি। শুধু গীতিকার ও সংগীত পরিচালক মিল্টন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এমন একজন মানুষ নিরবেই চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। সংগীত অঙ্গনে দীর্ঘদিনের পথচলায় এতো এতো সহকর্মীরা কই? দুনিয়া বড়ই স্বার্থপর!
পেশাদার সংগীত জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর।
প্রসঙ্গত, ৩০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে মনি কিশোরের, যার প্রায় সবগুলোই ছিলো হিট। রেডিও ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি।
তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান ‘কী ছিলে আমার’ তারই সুর করা ও লেখা।
আরটিভি / এএ
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সুজানা
দেশীয় শোবিজের অনিন্দ্য সুন্দরী মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফর। বিজ্ঞাপন ও নাটকে একসময় টানা ব্যস্ত সময় পার করেছেন তিনি। তার অভিনীত বেশির ভাগ মিউজিক ভিডিও হয়েছে দর্শকনন্দিত। কিন্তু বর্তমানে শোবিজ থেকে দূরে রেখেছেন নিজেকে। শোবিজ থেকে দূরে থাকলেও হুট করেই নতুন খবর দিলেন তিনি। জানালেন তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সুজানা। সেখানে কেকের ওপর লেখা, ‘হ্যাপি ম্যারিড লাইফ, সুজানা অ্যান্ড জায়াদ।’ ভিডিওতে এক ঝলক সুজানার স্বামীকেও দেখা যায়। মন্তব্যর ঘরে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার উত্তরও দিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে জানা যায়নি সুজানার স্বামী জায়াদের পরিচয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। কিন্তু চার মাস পরই বেজে ওঠে ভাঙনের সুর। এরপর সংগীতশিল্পী হৃদয় খানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৪ সালের আগস্টে বিয়েও করেন তারা। তবে সে বিয়েও টেকেনি। এক বছর না যেতেই বিচ্ছেদ হয় তাদের।
হৃদয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই শোবিজ থেকে নিজেকে আড়াল করতে শুরু করেন সুজানা। কয়েক বছর ধরেই একেবারেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান না। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ব্যবসা।
মূলত নিজের ফ্যাশন হাউজ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সুজানা। দুবাই থেকেই তার সুজানা’স ক্লোজেটের জন্য সামগ্রী নিয়ে আসেন দেশে। তবে নিজেও ডিজাইন করেন অনেক পোশাক। যদিও এখনই নিজেকে পুরাদস্তুর ফ্যাশন ডিজাইনার বলতে নারাজ সুজানা। নিছক নিজের ভালো লাগা থেকেই ডিজাইন করেন তিনি।
আরটিভি/এএ-টি
ফের কন্যা সন্তানের বাবা হলেন বাপ্পা মজুমদার
ফের কন্যা সন্তানের বাবা হলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। তার স্ত্রী অভিনেত্রী ও উপস্থাপক তানিয়া হোসাইন সোমবার (২৮ অক্টোবর) পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন গায়ক নিজেই।
তিনি বলেন, এ সত্যিই ভীষণ আনন্দের অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবার কাছে আমাদের মেয়ে ও মেয়ের মায়ের জন্য দোয়া চাই। মা–মেয়ে দুজনেই সুস্থ আছে।
২০১৯ সালে প্রথম বাবা-মা হন বাপ্পা-তানিয়া দম্পতি। সে বছরের ডিসেম্বরে জন্ম হয় তাদের প্রথম কন্যা অগ্নিমিত্রা মজুমদার পিয়েতার। প্রায় ৫ বছরের মাথায় খেলার সঙ্গী পেল পিয়েতা।
২০১৮ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন বাপ্পা মজুমদার ও তানিয়া হোসাইন। সে বছরের ১৬ মে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বাগদান হয় তাদের। পরে ২৪ জুন বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাপ্পার ঘরে যান তানিয়া।
আরটিভি / এএ
হাসনাত-সারজিসকে নিয়ে যা বললেন আসিফ আকবর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বর্তমানে সেখানেই তিনি অবস্থান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। নতুন বাংলাদেশে নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের। এতকিছুর মাঝেই এবার তারা দেখা করেছেন বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের সঙ্গে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাসনাত ও সারজিসের সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসিফ নিজেই। যেখানে তিনি লিখেছেন, জেনজি’র পক্ষ থেকে জুলাই বিপ্লবের দুই সফল অধিনায়ক এসেছিলেন ধন্যবাদ জানাতে। তাদের সাথে দেশ, সমাজ, রাজনীতির পাশাপাশি সঙ্গীত আর মিডিয়া নিয়েও গল্প হলো। এরা যথেস্ট জ্ঞানী এবং স্মার্ট।
এরপর হাসনাতকে সোজাসাপ্টা ও সারজিসকে মৃদূভাষী সম্বোধন করে আসিফ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ খুব স্ট্রেইট কাট ছেলে, সারজিস আলম মৃদূভাষী। আমিও তাদেরকে আমাদের Z-Force এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
সবশেষ আসিফ বলেন, ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবে বাংলাদেশ মুক্তি পেয়েছিল দুঃসহ অবস্থা থেকে। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লব এনে দিয়েছে আওয়ামী-বাকশালীদের খুনীতন্ত্র থেকে মুক্তি। Z-Force এর নভেম্বর বিপ্লব আর Gen-Z এর জুলাই বিপ্লব সমুন্নত থাকুক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে সরব ছিলেন আফিস আকবর। নিজের সন্তানকে নিয়েও রাজপথে নেমেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।
আরটিভি/এএ