লক্ষীছড়িতে চলবে গাড়ি

মো. শাহরিয়ার ইউনুস, খাগড়াছড়ি

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ , ১২:৪৮ পিএম


লক্ষীছড়িতে চলবে গাড়ি

অবশেষে দুর্ভোগের দিন শেষ হচ্ছে খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলা বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষের। প্রায় ৮ বছর বন্ধ থাকার পর বর্মাছড়ি সড়কে অসমাপ্ত তিনটি সেতু ও সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

বিজ্ঞাপন

এ ইউনিয়নে রয়েছে ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি উচ্চ ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত কষ্ট করছেন শিক্ষার্থীরা। বর্মাছড়িতে যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে চাঁদের গাড়ী ও মোটরসাইকেল। বর্ষা মৌসুমে তাও বন্ধ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

লক্ষীছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দশরথ তালুকদার জানান, এ তিনটি সেতু নির্মাণ করা হলে লক্ষীছড়ি-রাঙামাটি সড়কের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার কমে যাবে।

এদিকে সেতু ও সড়ক নির্মাণে এরইমধ্যে সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন পেলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কের রেঙগু ঘাট, ডান্দিছড়া ও মরাচেঙ্গী ছড়ার উপর তিনটি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরবর্তীতে ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৬ টাকা ব্যয়ে রেংগুঘাট সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান জেলার মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বাবুল। ৭২ লাখ ২৮ হাজার ৪৮৫ টাকা ব্যয়ে ডান্দিছড়া সেতুর কাজ পান মেসার্স আমিন ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান মোহন ও ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৬ টাকা ব্যয়ে মরাচেঙ্গী ছড়ার উপর সেতু তৈরির দায়িত্ব পান বাতায়ন দেওয়ান।

বিজ্ঞাপন

 

সে অনুযায়ী কাজ শুরু করলেও পরে সেতু তিনটি অসম্পূর্ণ রেখেই কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদাররা। একটি সূত্র জানায়, একদিকে উপজাতি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) চাঁদাবাজি ও অন্যদিকে কাজগুলোর প্রাক্কলিত ব্যয়ের পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সেতু তৈরির কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

ডান্দিছড়া ব্রীজের ঠিকাদার মাহবুবুর রহমান মোহন জানান, সেতুর প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বিপরীতে প্রায় সাড়ে ৭২ লাখ টাকার মধ্যে বিল পেয়েছেন ২৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সংগঠনটির চাঁদা আর কাজের প্রাক্কলিত ব্যয়ের বরাদ্দ না দেয়ায় এ সেতুর কাজ কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই অসমাপ্ত সেতুসহ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলজিইডি। সড়কের সার্ভের’র কাজও শেষ হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন পেলেই দ্রুত দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে।

এসএস/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission