গল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর সুবাদে ১৮২ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিনের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সকালেই সাজঘরে ফেরেন রানের চাকা সচল রাখা সৌম্য সরকার (৭১)। এরপর উইকেটে এসে টি-২০ স্টাইলে খেলতে থাকেন সাকিব আল হাসান। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলার ফলটাও হাতেনাতে পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মাত্র ১৯ বলে ২৩ রান করে সান্দাকানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার পর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ভারতের বিপক্ষে রানে ফেরা ও পিএসএল মাতানো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ৮ রান করে কুমারার বলে বোল্ড হন মিডল অর্ডারের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। এরপর ব্যক্তিগত ৫ রান করে একই পখ ধরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
দলের সেরা ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মিছিলে যোগ দেবার ফলে ফলোঅনের শঙ্কা দেখা দেয় টাইগারদের। তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও উদীয়মান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কল্যাণে সেই শঙ্কা উবে যায়। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা গড়েন ১০৬ রানের জুটি।
দলীয় ২৯৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ (৪১)। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি ডিপেন্ডেবল মুশফিক। দলীয় স্কোর বোর্ডে আর ১০ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি (৮৫ )। চা বিরতির পর হেরাথের বলে মুস্তাফিজ আউট হলে ৩১২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। পরে দিনের খেলা বাকি থাকলেও দিনের বৃষ্টি আঘাত হানায় তা আর হয়নি। এতে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে টাইগাররা।
গেলো বুধবার দিনের শুরুতে অল্প রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট তুলে নেয়ার পর ব্যাট হাতেও ভালো করে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ১৩৩ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে টাইগাররা। ওই দিনের শেষ বিকেলে আক্ষেপ হয়ে থাকে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল ও ‘পয়েট অব ডায়নামো’ খ্যাত মুমিনুল হকের উইকেট। অদ্ভুতভাবে তামিম (৫৭) রানআউট হবার পর নির্বিষ অফস্পিনে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল (৭)।
শ্রীলঙ্কার করা ৪৯৪ রানের জবাবে ব্যাট হাতে দারুণ জবাব দিচ্ছিলেন তামিম-সৌম্য। অবিচ্ছিন্ন উইকেট জুটিতে তারা সংগ্রহ করেন ১১৮ রান।
লঙ্কানদের হয়ে দিলরুয়ান পেরেরা ও রঙ্গনা হেরাথ নেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া লাকমল, কুমারা ও সান্দাকানের দখলে যায় ১টি করে উইকেট।
ডিএইচ