দেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। কারো ছেলে মেয়ে যেনো জঙ্গি না হয় তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল, কিন্তু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তা মিথ্যা প্রমাণিত করেছি। আমি শেখ মুজিবরের কন্যা। পিতার আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছি। আমাদের সততার জোর আছে। রাজনীতির জন্য সততাই মূল শক্তি। জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন। তিনি যেসব স্বপ্ন দেখেছেন তা আমরা পূরণ করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য। লুটপাট করার জন্য নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে দেশ স্বাধীন হতো না। তিনি থাকলে দেশের উন্নয়নে এতো সময় লাগতো না। অন্তত ৫টি বছর তিনি বেঁচে থাকলে দেশ উন্নয়নের পথে মোড় নিতো। ২০ বছর আগেই মানুষ উন্নত জীবন পেতো। কিন্তু ১৫ আগস্ট সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন, বিনিময়ে বারবার কারাভোগ করেছেন। জীবনের বেশি সময় বন্দিজীবন কাটিয়েছেন তিনি। ৬ দফা দাবি আদায়ে বারবার গ্রেপ্তার হন তিনি। বাংলাদেশের মানুষের মাঝে স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা যোগাতে তিনি দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরেছেন। তখন পাকিস্তানের সঙ্গে কিছু সুবিধাবাদী লোক আঁতাত করে এ অঞ্চলের প্রতি নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে আলবদর, আলশামস, রাজকার নামে পরিচয় বহন করে।
“যুদ্ধের সময়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে ইয়াহিয়া খান ফাঁসির রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বজনমতের কারণে তাকে ফাঁসি দিতে পারেনি। দেশের মানুষকে তিনি স্বাধীন করে সংবিধান উপহার দিয়েছেন। যাতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে।”
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা মানুষের কল্যাণে ১৯৪৮ সাল থেকে কাজ করে গিয়েছেন। যুদ্ধের পর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ১৫ আগস্টের পর পাকিস্তানের প্রেতাত্মার ছায়া দেশের ওপর ফের নামে। দেশে ফের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে দেশ আরো পিছিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, খন্দকার মোস্তাক ছিল ক্ষমতালোভী আর জিয়া ছিল তার দোসর। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে কারফিউ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। স্বাধীনতার দোসরদের নিয়ে ক্ষমতায় বসেন জিয়াউর রহমান। সেসময় জাতির পিতার খুনিদের জিয়াউর রহমান বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
এমসি/এসএস