খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বর্বরোচিত এ হত্যার মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।
রায় প্রধানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরিত ৩৯ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় মঙ্গলবা সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গেলো ৪ এপ্রিল এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গেলো ২৯ মার্চ এ মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়। এরপর ৪ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।
মলদ্বার দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিব হাওলাদারকে (১২) হত্যার ঘটনায় আনা মামলায় উভয়পক্ষকে সব ধরনের আইনি সুবিধা দিয়ে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে তিন আসামির মধ্যে আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেয়া হয়। পরে হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।
অন্য গ্যারেজে কাজ নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরীর টুটপাড়া কবরখানার মোড়ের শরীফ মোটরস গ্যারেজের মালিক মো. ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু দোকানের ভেতরে নিয়ে শিশু রাকিবের মলদ্বারে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেয়ার মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়। এতে রাকিবের শরীর ফুলে যায় এবং ভেতরের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়। ভেতরে রক্তক্ষরণের কারণে রাকিব মারা যায়।
এ ঘটনায় রাকিবের বাবা আলম হাওলাদার তিনজনকে আসামি করে পরদিন খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। রাকিবের মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই দিন রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ জনতা শরীফ ও মিন্টুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ পরে শরীফের মাকেও গ্রেপ্তার করে।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত।
আর/জেএইচ