ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৫৮ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫.১৬ গড়ে এ রান করতে হবে কিউইদের।
বুধবার ডাবলিনের ক্লোনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন টাইগার দু’উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তাদের জুটিতে আসে ৭২ রান। দলীয় এ রানে নিশামের বলে মুনরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে তামিম (২৩) ফিরলে এ জুটি ভাঙে।
এরপর ক্রিজে আসেন হার্ডহিটার সাব্বির রহমান। তবে এদিনও ফ্লপ থাকলেন তিনি। মাত্র ১ রান করে ফিরেছেন তিনি। গেলো ম্যাচে করেন ০।
সাব্বিরের বিদায়ের পর ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা মারকুটে ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ১১৭ রানে ইশ সোধির বলে টম লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন এ স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ৬৭ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৬১ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।
সৌম্য ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (৬)। তবে নিজের নামের প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারেননি তিনি। উল্টো দলকে চাপে ফেলে দলীয় ১৩২ রানে সোধির বলে নিশামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তারপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। তারা এগিয়েও যাচ্ছিলেন বেশ। তবে তাদের যাত্রায় বাধ সাধেন নিশাম। দলীয় ১৮১ রানে রঞ্চির হাতে ক্যাচ বানিয়ে ভরসার প্রতীক হয়ে থাকা মুশফিককে ফিরতে বাধ্য করেন তিনি। ফেরার আগে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
মুশফিফের বিদায়ের পর দলের দায়িত্বভার এসে পড়ে মাহমুদুল্লাহর কাঁধে। এ যাত্রায় সফলও হন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। তাকে যোগ্য সঙ্গও দেন মোসাদ্দেক। মূলত তাদের ইনিংসে ভর করে সম্মানজনক পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ২৪২ রানে বেনেটের বলে রেন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার আগে ৫৬ বলে ৬ চারে ৫১ রান করেন তিনি। সঙ্গী হারানোর কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরেন মোসাদ্দেকও। বাংলাদেশের উদীয়মান ফিনিশারও একই বোলারের বলে একই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৪১ বলে ৪ চারে ৪১ রান করেন মোসাদ্দেক। পরে বেনেট-রেন্স জুটির শিকার হয়ে ফেরেন উদীয়মান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে হামিশ বেনেট নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জেমস নিশাম ও ইশ সোধি।
ডিএইচ