ইন্দোনেশিয়ায় সমকামিতার দায়ে প্রকাশ্যে দু’ব্যক্তিকে ৮৩ বার বেত্রাঘাত করা হয়েছে। একটি মঞ্চে সাদা পোশাক পরিধান করিয়ে প্রার্থনারত অবস্থায় তাদের এ শাস্তি দেন মুখঢাকা কয়েকজন ব্যক্তি।
২০ ও ২৩ বছরের ওই দু’পুরুষের বাড়ি থেকে আটক করে আচেহ প্রদেশের স্থানীয়রা। স্থানীয় শরীয়াহ আদালত তাদের এ শাস্তি দেন।
প্রদেশটির রাজধানী বান্দা আচেহর একটি মসজিদের বাইরে অসংখ্য উৎসাহী মানুষের সামনে তাদের উপর এ শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। বেত্রাঘাতের সময়ে একজন দর্শক চিৎকার করে বলে উঠেন, আশা করি তোমার শিক্ষা হচ্ছে। বেত্রাঘাতে একজন কেঁদে উঠলে আরেক দর্শক চিৎকার করে বলে উঠো, আরো জোরে মারো।
এ দু’জনের ৮৫ বেত্রাঘাতের শাস্তি হয়েছিল, দু’মাস ডিটেনশন কাটানোয় তাদের দুটি বেত্রাঘাতের শাস্তি কমানো হয়। সমকামিতা ইন্দোনেশিয়ার বেশিরভাগ জায়গায় অবৈধ নয়, কিন্তু একমাত্র আচেহ প্রদেশে ইসলামি শরীয়াহ আইনে পরিচালিত। ২০১৪ সালে পাশ হওয়া কঠোর এক আইনানুযায়ী প্রথম সমকামিতার জন্য শাস্তি পেল।
ওই আইনানুযায়ী সমকামিতার শাস্তি ১০০ বেত্রাঘাত, ১০০ দিনের কারাদণ্ড বা ১ হাজার গ্রাম স্বর্ণ জরিমানা। এ আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেম, দৈহিক সম্পর্ক ও অপরিণত বয়সে যৌন সম্পর্ক নিষিদ্ধ ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য যে, ২০১৬ সালে এই আইনে ৩৩৯ জনকে আটক করে কর্তৃপক্ষ।
আচেহ প্রদেশের ধর্ম পুলিশ হিজাব ছাড়া ও আটসাটো পোশাক পরিহিত নারী ও মদ ও জুয়া খেলা ব্যক্তিদেরও আটক করেছে। গেলো অক্টোবরে প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করায় দু’নারীকে সমকামিতার অভিযোগে আটক করা হয়। তাদের ‘পুনর্বাসন’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
এর আগে গেলো সপ্তাগে দেশটির রাজধানী জাকার্তার একটি ‘গে সেক্স পার্টি’থেকে ১৪১ জন পুরুষ যৌনকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে বৃটেন ও সিঙ্গাপুরের নাগরিকও ছিলেন।
এপি/ওয়াই