বনানীতে তরুণী ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন ইভান। এছাড়াও একাধিক মেয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও স্বীকার করেছেন। জানালেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
সকালে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মুফতি মাহমুদ বলেন, ধর্ষিতা তরুণী যে ভিডিওর কথা বলেছেন সেটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত ইভানের বনানীর বাসা ও তার নিকট আত্মীয়দের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকেও কোনো ভিডিও পাওয়া যায়নি।
ধর্ষণের শিকার তরুণী মামলার এজাহারে জানিয়েছেন, ইভানের বাসায় তার একটি ব্যাগ রয়েছে। সেখানে ৩টি জামা, ২ টি প্যান্ট, একটি কুর্তা, ৩টি মোবাইল চার্জার সিমকার্ডসহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে।এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মুফতি মাহমুদ বলেন, এখন অনেকে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। তবে এর জন্য যিনি প্রতারণার শিকার তিনিও কোনো অংশে কম অপরাধী নয়। কারণ সচেতনতার অভাব। কোনো কাজ করার আগে অথবা কারো সঙ্গে জড়ানোর আগে তার বিষয়ে জেনে নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতারণা একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কারণ অল্প সময়ে অধিক অর্থ আয়ের একটি সহজ মাধ্যম এটি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ইভান ২০০৫ সাল থেকে মাদকাসক্ত। এর আগে তাকে দু’বার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা ইভান বখে যাওয়ায় ২০০৮ সালে তাকে বিয়ে দেয় পরিবার। তার পাঁচ ও দেড় বছরের দু’টি সন্তান রয়েছে।
গেলো মঙ্গলবার রাতে ইভান বনানী ২ নম্বর সড়কে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে বনানী থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, ইভান (২৮) ব্যবসায়ী বোরহানউদ্দিনের ছেলে। তাদের বনানীতে একটি বিপণি বিতান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের পূর্ব দেওভোগ এলাকা থেকে ইভানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এইচটি/এমকে