অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার জেসন গিলেস্পিকে জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দিলো পাপুয়া নিউগিনি (পিএনজি)। ২০১৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সামনে রেখে তাকে নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সহযোগী দেশটি।
ক্রিকেট পিএনজি প্রধান নির্বাহী গ্রেগ ক্যাম্পবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দলটির সাবেক পরামর্শক দিপক প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে ইয়র্কশায়ার কোচকে।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া’এ দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পান গিলেস্পি। তবে বেতন সংক্রান্ত বিষয়াদী নিয়ে দলটির দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল হওয়ায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গিলেস্পি বলেন, পিএনজি সম্পর্কে সবকিছু জেনেই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হয়েছি। এ নিয়ে আমি বেশ কৌতুহলী। ভিন্ন দেশ, আলাদা কন্ডিশন, নবীন দল-সবমিলিয়ে আমার নতুন অভিজ্ঞতা হবে। এটা আমার অভিজ্ঞতা ও শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করবে।
২০১৫ বিশ্বকাপে অল্পের জন্য খেলা হয়নি পাপুয়া নিউগিনির। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না দেশটি। সেই লক্ষ্যেই গিলেস্পির মতো কোচকে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
চলমান ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট চ্যাম্পিয়শিপে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচে ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারলেই শীর্ষ চারে থাকা নিশ্চিত হবে তাদের। এতে আসছে বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সুযোগও সৃষ্টি হবে।
অক্টোবরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আসছে দু’মাসে অস্ট্রেলিয়ায় ন্যাশনাল পারফরম্যান্স স্কোয়াড, দ্য অস্ট্রেলিয়ান ইনডিজেনাস টিম ও কুইন্সল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে খেলবে পিএনজি।
অস্ট্রেলীয় আদিবাসী কামিলারোই জনগোষ্ঠীর সদস্য গিলেস্পির বাবা। সে হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আদিবাসী হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার সুযোগ পান তিনি।
১৯৯৬ সালে সিডনিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে করেন ২০১ রান। ওই দিন ছিল এ পেসারের ৩১তম জন্মদিন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টও।
টেস্টে মোট ২৫৯টি উইকেট আছে গিলেস্পির। এছাড়া ওয়ানডেতে তার দখলে আছে ১৪২টি উইকেট।
ওয়াই/ডিএইচ