কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। জানিয়েছেন ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান।
এর আগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন জানান, ফরহাদ মজহার আদালতে ও পুলিশের কাছে যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, তার সঙ্গে পুলিশি তদন্তে পাওয়া তথ্যের যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য বা গরমিল রয়েছে। তাই আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ফরহাদ মজহারকে নিয়ে আসা হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে।
তিনি বলেন, ফরহাদ মজহার যদি সত্যিকার অর্থে অপহৃত হয়ে থাকেন, তাহলে একামাত্র সাক্ষী তিনি নিজেই এবং যারা অপহরণ করেছেন তারা। এই পর্যন্ত তদন্তে আমাদের মনে হয়েছে তিনি অপহৃত হননি।
আব্দুল বাতেন আরো বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, ফরহাদ মজহার অপহৃত হননি। তিনি যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কীভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
৩ জুলাই ভোরে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে রাজধানীর শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে।
রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে- তিনি ঢাকা থেকে স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেন। তবে এখনই এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না বলে জানায় পুলিশ।
তবে ফরহাদ মজহার আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তার সঙ্গে তদন্তে পাওয়া তথ্য মিলছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। টানা ৯ দিনের তদন্তে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, সেসবের বিচার-বিশ্লেষণ চলছে বলেও জানান কমিশনার। এই অপহরণ নিয়ে অত্যন্ত রহস্য তৈরি হয়েছে। কারণ ফরহাদ মজহার সাহেব বিজ্ঞ আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা যে ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি, সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি, কল লিস্ট পেয়েছি, বস্তুগত সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছি, তার সঙ্গে উনার বক্তব্যের মিল নেই।
আর/সি/জেএইচ