যারা পাস করেছেন তাদের অভিনন্দন আর যারা ফেল করেছেন তাদেরকে পড়ালেখার প্রতি উৎসাহ দিতে হবে। তাদের পড়াশোনায় আরো মনোনিবেশ করতে হবে, তাদের আরো ভালো করতে হবে। কত শতাংশ পাস বা ফেল করলো তা বিবেচ্য নয়। শিক্ষার্থীদের আরো পড়তে হবে, পড়াশোনায় মনোযোগ আরো বাড়াতে হবে। প্রতিদিন পড়ার জন্য কোন সময়টা ভালো সেটা বেছে নিতে হবে।
রোববার সকালে গণভবনে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিভাবকদের সঠিক গাইডলাইন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে, যেকোনো কথা যেন বলতে পারে তেমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ভবিষ্যতে এ দেশের দায়িত্ব এ ছেলেমেয়েদের নিতে হবে। ভালো বিজ্ঞানী, শিক্ষক হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখনকার ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দিতে হবে। অনেক রক্ত দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। প্রতিটি মানুষ যেন মর্যাদা নিয়ে চলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছিলাম। নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তবে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কম। কিন্তু এ শিক্ষার প্রয়োজন। বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম। আমাদের মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, আমি প্রথম করেছি। দেশে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমি আরো চারটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম ৬০ দিনের মধ্যেই রেজাল্ট দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আগে পরীক্ষার সময় ও ফল প্রকাশের সময়ের কোনো ঠিক ছিল না। আমরা তা নিয়মের মধ্যে নিয়ে এনেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভর্তির ফরম সংগ্রহ, চাকরির জন্য তথ্য বাতায়ন করে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। ফলে ছোটাছুটি করে সময় নষ্টের প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করে দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষায় সঠিক মূল্যায়ন হওয়ায় এ বছর পাসের হার কম। সৃজনশীল উত্তরপত্র অতিমূল্যায়ন ও অবমূল্যায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে সরকার।
আজ দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট, নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও টেলিটক মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন।
সারাদেশে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ জন, পাস করেছে ৮ লাখ এক হাজার ৭১১ জন।
সি/