ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলের এক বাসিন্দা তার স্ত্রীকে নেশা দ্রব্য খাইয়ে ডজন খানেক ভাড়াটে লোক দিয়ে ধর্ষণ করায়। পরে ধর্ষণের ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে গোপনীয়তা লঙ্ঘনেরও অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের আভিগনো শহরের আদালতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠে।
জানা যায়, নিজের স্ত্রীকে নেশা দ্রব্য প্রয়োগ করে অচেতন করা ও ডজন খানেক ভাড়াটে লোক দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
৭১ বছর বয়সি দোমিনিক পেলিকো আদলতে বলেন, আমি এই ঘটনার পুরো দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। এই ঘরে উপস্থিত বাকি সবার মতো আমিও একজন ধর্ষক। সেই সময় আদালত কক্ষে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া আরো ৫০ জনের মতো অভিযুক্ত উপস্থিত ছিল।
দোমিনিক পেলিকো বলেন, আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যদিও আমার অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য৷
বিচারকরা জানান, পেলিকো একটি ওয়েবসাইটে তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌনাচারের বিজ্ঞাপন দেন এবং পরে সে ঘটনার ভিডিও করে রাখেন।
আদালতে পেলিকো দাবি করেন, শৈশবে তিনি নিজেও ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন এবং সেই দুঃস্মৃতি এখনো তাকে তাড়া করে৷ আদালতে উপস্থিত অন্য অভিযুক্তদের কয়েকজন ধর্ষিতার বিরুদ্ধেই উল্টো অভিযোগ করে বলে, পেলিকোর স্ত্রী ঘুমের অভিনয় করছিলেন৷ আসলে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তার সম্মতি ছিল।
দোষী প্রমাণিত হলে আসামীদের ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা ভুক্তভোগীর গিসেল পেলিকো তার আইনজীবীর মাধ্যমে তার স্বামী ও অন্যান্য অভিযুক্তের জনসমক্ষে বিচারের দাবি জানান।
আদালতে বিচার চলাকালীন গিসেল বলেন, মিস্টার পেলিকো নিজের মুখে এ মুহূর্তে যা বলেছেন, তা আমার পক্ষে শোনাও বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন শহরে দেশটির হাজারো নাগরিক গিসেলের সমর্থনে বিক্ষোভ করেন।
আরটিভি/এএইচ
