দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার বাদ আছর ৩য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মায়ের পাশেই তাকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।
দাফনের আগে তার নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের শাহবাজ মাস্টারপাড়ায় তৃতীয় জানাজা দফা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক। সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মোজাম্মেল হক, সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুখ, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, জেলা উপজেলার নেতাকর্মী ও কয়েক হাজার মানুষ।
এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে তার ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে মরদেহ সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি মাঠে আনা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে শাহবাজ মাস্টারপাড়ায় এমপির মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
লিটনের কফিনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও ছিলেন তার স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি, তার বড় বোন আফরোজা বুলবুল ও তৌহিদা বুলবুল এবং ভগ্নিপতি আব্দুল্যাহিল বারী।
গেলো ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার নিজ বাড়িতে দৃর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালে নেয়া হলে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমসি/ জেএইচ