যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলের এক পুরুষ সহকারীকে ভালোবাসার অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতা কেটি হিল। খবর যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির।
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট পার্টির এই আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, তিনি ভাঙা মন নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
তিনি টুইটারে লেখেন, আমি বিশ্বাস করি এটি আমার সংবিধান, আমার সম্প্রদায় এবং আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো কিছু।
দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এথিকস কমিটি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হিলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার কয়েকদিনের মধ্যেই তার পদত্যাগের ঘোষণাটি সামনে এলো।
দেশটির রক্ষণশীল ব্লগ রেডস্টেট তার বিরুদ্ধে অফিসের পুরুষ সহকারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ তোলার পর তদন্ত শুরু করেছিল এথিকস কমিটি।
ব্লগটি দাবি করে, পুরুষ ও নারী উভয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকারী হিলের এক নারী প্রচারণা কর্মী সদস্য এবং তার স্বামীর সঙ্গে একটি ত্রিমুখী সম্পর্কও ছিল।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামকে ছাড়িয়ে গেছে টিকটক
---------------------------------------------------------------
রেডস্টেট তার একাধিক নগ্ন ছবিও প্রকাশ করে। অনলাইনে প্রকাশিত এসব নগ্ন ছবির বিষয়ে তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে পুলিশ।
এই ৩২ বছর বয়সী নারী রাজনীতিক সহকারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সহকারীর সঙ্গে সম্পর্ক করা হাউস অব রেপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ম লঙ্ঘন।
তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে এথিকস কমিটি উল্লেখ করে, এই তদন্তের মানে এই নয় যে তিনি কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
এই কংগ্রেসনাল তদন্ত বুধবার শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে হিল সমর্থকদের উদ্দেশে পাঠানো এক চিঠিতে ২০১৮ সালে প্রচারণা চলাকালে এক নারী কর্মী সদস্যের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেন।
তিনি আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তার এই সম্পর্ক ছিল। তাই এটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক সংক্রান্ত কংগ্রেশনাল নিয়মগুলোর মধ্যে পড়ে না বলেও উল্লেখ করা হয় গণমাধ্যমটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে।
কে/এমকে